সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এ দেশের মানুষের অস্তিত্বের সঙ্গে মিশে আছে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে।
সোমবার পুলিশ সদর দপ্তরের হল অব প্রাইডে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আয়োজিত নিরাপত্তা সংক্রান্ত এক সভায় এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপনের লক্ষ্যে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।
এ সময় আইজিপি কমিউনিটি পুলিশের সদস্য এবং বিট পুলিশ কর্মকর্তাকে সংশ্লিষ্ট পূজা উদযাপন কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে পূজার নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকার অনুরোধ জানান।
সভায় উপস্থিত হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা আইজিপির প্রতি কৃতজ্ঞতা ও পুলিশকে ধন্যবাদ জানান। দুর্গাপূজা নিরাপদে উদযাপনের লক্ষ্যে পুলিশ প্রাক-পূজা, পূজা চলাকালীন ও পূজা পরবর্তী তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ থেকে জানানো হয়, সভায় সব পূজামণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে হ্যান্ডহেল্ড মেটাল ডিটেক্টর ও আর্চওয়ে গেট স্থাপন, মণ্ডপে সার্বক্ষণিক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ, নারী ও পুরুষের জন্য পৃথক প্রবেশ ও প্রস্থান পথের ব্যবস্থা করা, মণ্ডপ ও বিসর্জনস্থলে পর্যাপ্ত আলো, স্ট্যান্ডবাই জেনারেটর/চার্জার লাইটের ব্যবস্থা করা, আযান ও নামাজের সময় উচ্চশব্দে মাইক ব্যবহার না করার জন্য পূজা উদযাপন কমিটির প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯-এ কল করার জন্যও অনুরোধ করা হয়েছে।
সভায় অতিরিক্ত আইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এম খুরশীদ হোসেন, স্পেশাল ব্রাঞ্চের প্রধান (অতিরিক্ত আইজি) মো. মনিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিক, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি মনীন্দ্র কুমার নাথ ও সাধারণ সম্পাদক রমেন মণ্ডল, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের স্বামী কল্পেশানন্দ এবং ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সব মেট্রোপলিটন কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও পুলিশ সুপাররা ভার্চুয়ালি সভায় যুক্ত ছিলেন।
মন্তব্য