সাভার প্রতিনিধি: আব্দুল কাইয়ুম,
সাভারের আশুলিয়ায় একই ঘটনায় পাশাপাশি কক্ষে এক কিশোরি (১৬) ও ১২ বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (০২ অক্টোবর) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত ৫ জনকে আশুলিয়া থানা থেকে প্রিজন ভ্যানে আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে রবিবার ভোরে তাদের আশুলিয়ার ডেন্ডাবর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো-মাদারীপুরের কালকিনি থানার আলীপুর গ্রামের এনামুল হকের ছেলে রেজাউল করিম ইমন (২১), শেরপুর জেলার সদর থানার বাকের কান্দা গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে নাঈম (২০), একই গ্রামের একাব্বর আলীর ছেলে আবু বক্কর ছিদ্দিক, বি-বাড়িয়া জেলার বাঞ্চারামপুর থানার আকানগর গ্রামের আজমল খানের ছেলে আশরাফুল (২০) ও একই গ্রামের হেলাল মিয়ার ছেলে নুর হোসেন (২০)। তারা সবাই বর্তমানে আশুলিয়া ডেন্ডাবরে বিভিন্ন বাসায় ভাড়া থাকে।
মামলা এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাত ১০ টার দিকে আশুলিয়া ডেন্ডাবরে বসবাসকারী ভুক্তভোগী কিশোরী ও তার প্রতিবেশী ১২ বছরের আরেক মেয়ে শিশুকে নিয়ে দোকানে যায়। এসময় অভিযুক্ত নাঈম কৌশলে কিশোরি ও শিশুকে পূর্ব ডেন্ডাবরে তাজুল ইসলামের মালিকানাধীন বাড়ির একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়। পরে নাইম আরো ৪ জনকে খবর দিয়ে সেখানে নিয়ে যায়। সেখানে শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ টা থেকে শনিবার ভোর রাত পর্যন্ত আটকে রাখে। এর মধ্যে রেজাউল একটি কক্ষে নিয়ে শিশু মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। অপর আরেকটি কক্ষে নাইম ও আশরাফুল কিশোরিকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে তাদের ছেড়ে দেয়। পরিবার বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশে খবর দেয়।
আশুলিয়া থানার এস আই রাজু মন্ডল বলেন, খবর পেয়ে ভোরে ডেন্ডাবরে অভিযান চালিয়ে তাদের ৫ জনকে আটক করেছি। পরে দুই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুর রাশিদ বলেন, গ্রেপ্তার আসামীদের বিরুদ্ধে আলাদা দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। কিশোরীর ঘটনায় গণধর্ষণ ও শিশু মেয়ের ঘটনায় ধর্ষণের মামলা হয়েছে। দুই মামলায় গ্রেপ্তার ৫ জন আসামী। ভুক্তভোগীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য