গত ২৩ আগস্ট নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। সারাদেশের ন্যায় আগামী ১৭ অক্টোবর সোমবার অনুষ্ঠিত হবে কুমিল্লা জেলা পরিষদ নির্বাচন। এ নির্বাচনকে সামনে রেখে মেঘনা ১নং ওয়ার্ডে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। এ ওয়ার্ডে ৪জন সদস্য পদে নির্বাচন করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এরইমধ্যে এমরান হোসেন আকাশ আলোচনায় সবার শীর্ষে। এরই মধ্যে তাঁকে নিয়ে শুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা। আবার কেউ করছে অপপ্রচারও। একাধিক প্রার্থীর মধ্যে ভোটারদের মন কেরে নিয়েছেন এই প্রার্থী।
জানা গেছে, ১নং ওয়ার্ডের সদস্য পদে একাধিক প্রার্থী মাঠে থাকলেও সর্বত্র আলোচনায় রয়েছেন মেঘনা উপজেলা আ’লীগের সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও সাবেক ছাত্র নেতা এমরান হোসেন আকাশ। তিনি প্রতিদিন গভীর রাত পর্যন্ত মানুষের সাথে কুশল বিনিময় করে ব্যস্ত সময় পার করছেন এবং ভোটারদের ধারে ধারে ভোট প্রার্থনা করছেন।
আজ সোমবার ৩- অক্টোবর -২০২২ইং তারিখে মেঘনায় সকাল ১০ ঘটিকার সময় তার নিজ এলাকায় নির্বাচনী অফিসে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। এমরান হোসেন আকাশ সাংবাদিকদের বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনে আমি প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করায় ১নং ওয়ার্ডের ভোটাররা অনেকে খুশি হয়েছেন। তবে কিছু অসাধু লোকজন আমাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। এমনকি বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দেওয়া হচ্ছে। যারা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন তারাই নিয়মিত আমার নামে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এমনকি টাকা দিয়ে ভোট কেনাবেচা হচ্ছে গুজব ছড়াচ্ছেন। আমি যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারি এবং কেউ যেন টাকা দিয়ে ভোট কেনাবেচা করতে না পারে সেজন্য আমি আমার সাংবাদিক বন্ধুদের নিকট সর্বোচ্চ সহযোগিতা কামনা করছি। আমি গরীব মানুষ, আমি টাকা পয়সা ব্যায় করতে পারবো না। আমি অদ্যবধি পর্যন্ত আ’লীগের রাজনীতির সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছি। আমি কোনো চাঁদাবাজি করি না এবং প্রশ্রয়ও দেই না।
তিনি আরও বলেন, আমার কাছে প্রত্যেকটি ভোটারই যথেষ্ট ভদ্র ও নম্র। আমি তাদের সাথে একান্তভাবে আলোচনা করেছি। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমি যা দেখতে পেলাম, মেঘনার মানুষ যোগ্য লোকদেরকেই বাছাই করে নির্বাচিত করেছেন।
এদিকে এলাকাবাসী জানায়, পরোপকারী এমরান হোসেন আকাশ এবারের নির্বাচনে জেতাতে জোট বেঁধে মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন মেঘনা ১নং ওয়ার্ডের সর্বস্তরের ভোটারগণ। বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনের মাধ্যমে কুশল বিনিময় করে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। মানুষের ভালোবাসায় বেড়ে উঠা এই সমাজ সেবককে পেতে অনেকে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
স্টাফ রিপোর্টার
মন্তব্য