নিজস্ব প্রতিবেদক,
কুমিল্লার বরুড়ায় গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী আলমগীর’কে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী হতে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বৃহস্পতিবার দুপুরে র্যাব-১০ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
র্যাব জানায়, কুমিল্লা জেলার বরুড়া থানার মামলা নং- ০৭,এর ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩ এর ৯(৩)/৩০ তৎসহ ৩২৩/৫০৬ পেনাল কোড ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী মোঃ আলমগীর হোসেন। মামলার বিষয়টি জানতে পেরে আলমগীরসহ অন্যান্য আসামীরা আত্মগোপনে চলে যায়।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানাধীন কাজলা এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে প্রধান আসামি আলমগীর কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
এসময় তার নিকট হতে ০১টি মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী উক্ত ঘটনার সাথে তাদের সম্পৃক্ততার সত্যতা স্বীকার করেছেন বলে জানানো হয়।
র্যাব আরো জানায়, গ্রেফতারকৃত আলমগীর’কে জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, কুমিল্লা জেলার বরুড়া থানাধীন রতনপুর এলাকায় বসবাসরত তার বন্ধু ও উক্ত মামলার ০৩নং আসামী একই জেলার লাকসাম এলাকায় বসবাসরত ভিকটিম (২৩) এর সাথে আত্মীয়তার সূত্র ধরে মিথ্যা প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। অতঃপর তার সহযোগী গ্রেফতারকৃত আসামী আলমগীর (২৬) এর সহায়তায় তার বন্ধু পালিয়ে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে ভিকটিম’কে গত ১২/০৭/২০২২ তারিখ ভিকটিমের বাসা থেকে বরুড়া থানাধীন ছোট কালিকাপুর এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে গ্রেফতারকৃত আলমগীর ও তার বন্ধু তাদের অপর দুই সহযোগী উক্ত স্থানে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ডেকে নিয়ে আসে।
পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আলমগীর ও মকরম ভিকটিম’কে কাজী অফিসে যাওয়ার কথা বলে তাদের পূর্বপরিকল্পিত সুবিধাজনক স্থান বরুড়া থানাধীন দূর্গাপুর কার্জন খালপাড় এলাকায় নিয়ে যায় এবং আলমগীরের পরামর্শ অনুযায়ী ০৩ নং ও ০৪নং আসামী সাক্ষী আনার জন্য চলে যায়। অতঃপর ভিকটিম’কে আলমগীর টর্চ লাইট দিয়ে ভিকটিমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে ও বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোড়পূর্বক প্রথমে আলমগীর ও পরে উক্ত মামলার ০২নং আসামী পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর ধর্ষণকারীরা ঘটনাটি কাউকে জানালে প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শন করে ভিকটিম’কে দূর্গাপুর পাকা রাস্তার উপর একা ফেলে পালিয়ে যায় ধর্ষকরা।
পরবর্তীতে ভিকটিম উক্ত ঘটনা সম্পর্কে তার পরিবারকে জানায় এবং তাদের সাথে পরামর্শ করে কুমিল্লা জেলার বরুড়া থানায় আলমগীরসহ চার জনের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে বুধবার (০৬ অক্টোবর) রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানাধীন কাজলা এলাকা হতে আলমগীর র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
মন্তব্য