নিজস্ব প্রতিবেদক,
বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) কর্তৃক পরিচালিত পৃথক দুটি অভিযানে ১,৫০,০০,০০০০/- (এক কোটি পঞ্চাশ লক্ষ ) টাকা মূল্যমানের ৫০,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট (মালিকবিহীন অবস্থায়) উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বার্তায় এ তথ্য জানান অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ জীম্বংখালী বিওপি’র একটি চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল বিআরএম-১৭ হতে আনুমানিক ৩০০ গজ দক্ষিণ দিকে ইসহাকের ঘের নামক এলাকায় নিয়মিত টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। উক্ত সময় টহলদল ০১ জন চোরাকারবারীকে সাঁতার দিয়ে মায়ানমার হতে শূন্য লাইন অতিক্রম করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নাফ নদীর তীরে আসতে দেখে এবং তার গতিবিধি সন্দেহ হওয়ায় টহলদল তাকে চ্যালেঞ্জ করে দ্রুত অগ্রসর হয়। চোরাকারবারী দুর হতে বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি অনুধাবন করা মাত্রই ০১টি পলিথিনের ব্যাগ ফেলে পূনরায় সাঁতার দিয়ে দ্রুত মায়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়।
পরে টহলদল উল্লেখিত স্থানে পৌঁছে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে চোরাকারবারীর ফেলে যাওয়া ০১টি পলিথিনের ব্যাগ উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত পলিথিনের ভিতর হতে ১০,০০০ (দশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট (মালিকবিহীন অবস্থায়) জব্দ করতে সক্ষম হয়। যার সিজার মূল্য ৩০,০০,০০০/- (ত্রিশ লক্ষ) টাকা। উক্ত স্থানে অন্য কোন অসামরিক ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি বিধায় চোরাকারবারীকে সনাক্ত করাও সম্ভব হয়নি। চোরাকাবারীকে সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
অপরদিকে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটায় টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ জীম্বংখালী বিওপি’র একটি সীমান্ত সুরক্ষা টহলদল বিআরএম-১৬ হতে আনুমানিক ৬০০ গজ উত্তর-পশ্চিমে চেয়ারম্যানের মাছের ঘের সংলগ্ন বেড়িবাঁধের উপরে নিয়মিত টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। উক্ত সময় টহলদল ০২ জন ব্যক্তিকে একটি মাছের ঝুড়ি হাতে নিয়ে চেয়ারম্যানের ঘেরে এলাকা দিয়ে আসতে দেখে। তাদের গতিবিধি সন্দেহ হওয়ায় টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করে দ্রুত অগ্রসর হয়। উক্ত ব্যক্তিরা দুর হতে বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি অনুধাবন করা মাত্রই তাদের হাতে থাকা মাছের ঝুড়ি ফেলে দিয়ে দ্রুত দৌড়ে পার্শ্ববর্তী গ্রামের দিকে পালিয়ে যায়। টহলদল উল্লেখিত স্থানে পৌঁছে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে উক্ত ব্যক্তিদের ফেলে যাওয়া ০১টি মাছের ঝুড়ি উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত ঝুড়ির ভিতর হতে ৪০,০০০ (চল্লিশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট (মালিকবিহীন অবস্থায়) জব্দ করতে সক্ষম হয়। জব্দকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটের সিজার মূল্য ১,২০,০০,০০০/- (এক কোটি বিশ লক্ষ) টাকা। উক্ত স্থানে অন্য কোন অসামরিক ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি বিধায় চোরাকারবারীদের সনাক্ত করাও সম্ভব হয়নি।
চোরাকাবারীদেরকে সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানানো হয়। এবং বর্তমান সরকারের মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির যথাযথ বাস্তবায়নকল্পে মাঠ পর্যায়ে বিজিবি’র অভিযানিক কর্মকাণ্ড এবং গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান।
মন্তব্য