মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪
 

আপনারা আমাদের ওপর আস্থা রাখতে পারেন: শামীমা

কণ্ঠস্বর ডেস্ক, ঢাকা
প্রকাশ: ৬ অক্টোবর ২০২২

 ফাইল ফুটেজ

নিজস্ব প্রতিবেদক,

আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির গ্রাহকদের উদ্দেশে প্রতিষ্ঠানটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা শামীমা নাসরিন গতকাল বৃহস্পতিবার এক ভার্সুয়াল সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

এ সময় তিনি বলেছেন, আপনারা আমাদের ওপর আস্থা রাখতে পারেন। আমাদের কর্ম পরিচালনায় হাইকোর্ট থেকে নিয়োজিত দুজন ইন্ডিপেন্ডেন্ট ডিরেক্টর নিয়োজিত রয়েছেন। যেকোনো শর্তে প্রতিষ্ঠানের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেলের জামিন প্রার্থনা করা হবে বলে জানান তিনি।

ইভ্যালির সহ-প্রতিষ্ঠাতা বলেন, মাহবুব কবির মিলন (সাবেক অতিরিক্ত সচিব) স্যারও আমাদের সবসময় গাইড করছেন। আমাদের যেন কোনো ভুল না হয়, সে বিষয়ে তিনি আমাদের সতর্ক করে যাচ্ছেন। কোম্পানি অপসারণ না করার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল— এটি যেন আমরা প্রমাণ করতে পারি, সে ব্যাপারে তিনি আমাদেরকে পরামর্শ দিচ্ছেন। আমরা তাকে ধন্যবাদ জানাই।

বৃহস্পতিবার বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন শামীমা নাসরিন। তিনি বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সব মামলা মূলত গ্রাহকের পাওনা পরিশোধে বিলম্ব হওয়ার অভিযোগ এবং চেক ডিজঅনার সম্পর্কিত। আমাদের বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনারের যতগুলো মামলা হয়েছে, সেগুলো খুবই সামান্য। সর্বমোট প্রায় ২০ কোটি টাকা পাওনার মামলা হয়েছে।

শামীমা নাসরিন বলেন, যারা মামলা করেছেন শুধু তাদেরই অর্থ ফেরত দেওয়া নয়, আমরা চাই সবার অর্থই ফেরত দিতে। আমরা যেহেতু বিজনেস করার সুযোগ পেয়েছি, মহামান্য আদালত লাখ-লাখ গ্রাহক এবং বিক্রেতার স্বার্থে শিগগিরই মো. রাসেলকে জামিন দেবেন বলে আমরা আশা করি। আমরা যেকোনো শর্তে জামিন প্রার্থনা করব। মোট আটটি মামলায় মো. রাসেল আটক রয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, চেকের কিছু মামলা যেগুলো জামিনযোগ্য, সেগুলোর জামিন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এরকম মামলার সংখ্যা ১৫টি। আমরা সবাই কামনা করি যেন এ ব্যাপারে পজিটিভ কোনো আপডেট গ্রাহকদের আমরা দিতে পারি। আপনারা আমাদের উপর আস্থা রাখতে পারেন। আমাদের কর্ম পরিচালনায় মহামান্য হাইকোর্ট কর্তৃক নিয়ােজিত দুইজন ইনডিপেন্ডেন্ট ডিরেক্টর রয়েছেন। এছাড়াও আপনারা জানেন, জনাব মাহবুব কবির মিলন স্যার আমাদের সব সময় গাইড করছেন। তিনি মূলত আমাদের যেন কোন ভুল না হয় সে বিষয় সতর্ক করে যাচ্ছেন। গ্রাহকদের কাছে যেন অবসায়ন না করার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল এটি আমরা প্রমাণ করতে পারি, সে ব্যাপারেও তিনি আমাদের পরামর্শ দিয়েছেন। আমরা তাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।

পরিশেষে এটাই বলতে চাচ্ছি যে,দেশের গণমাধ্যমের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। কোন অন্যায় বা ভুল দেখলে তারা অবশ্যই প্রতিবেদন করবেন। কিন্তু আমাদের অনুধাবন হচ্ছে যে, কোন কোন ব্যক্তি বিশেষ এবং মহল গণমাধ্যমকে অনেক সময়েই ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছে। আর আমাদের ব্যবসায়িক প্রতিদ্বন্দ্বি হিসেবে আমাদের ক্ষতি করার উদ্দেশ্যেই তারা এমনটা করছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, এতে শুধু ইভ্যালির ক্ষতি হচ্ছে না বরং ৪৫ লক্ষ গ্রাহক, ৩০ হাজার ব্যবসায়ী এবং সামগ্রিকভাবে দেশের অর্থনীতি ও ‘ইমেজ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ৪৭ হাজার কোটি টাকার হিসেব নেই, আমরা মানি লন্ডারিং করেছি, মাসে একাধিকবার দুবাই ভ্রমণ করি – এমন ভিত্তিহীন সংবাদ দেশের গণমাধ্যমের কাছে জনগণ আশা করে না। ৪৭ হাজার কোটি টাকা একটু ভেবে দেখলেই বােঝা যায় এটি অবাস্তব। অন্যদিকে ইমিগ্রেশন অফিস চেক করলেই দেখা যেত আমরা প্রতি মাসে দুবাই গিয়েছিলাম কিনা।আমাদের কার্যক্রম শুরুর প্রথম দিন সাধারণ গ্রাহক ও ব্যবসায়ীরা তাদের আনন্দের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে আমাদের কার্যালয়ের সামনে আসেন; কিন্তু সেটাকে সম্পূর্ণ উলটোভাবে উপস্থাপন করা হয়। কিছু কিছু গণমাধ্যম তাদের ক্ষমতাকে আরও দায়িত্বশীলতার সাথে ব্যবহার করবেন বলে আমাদের দাবি রইলাে।

একটি সুন্দর, নিরাপদ, সেবামূলক, লাভজনক ও টেকসই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠায়, বেকার যুবকদের নতুন কর্মসস্থান সৃষ্টিতে এবং দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে আমরা আপনাদের পূর্ণ সহযােগিতা চাই।

মন্তব্য

সর্বশেষপঠিত

এলাকার খবর

Developed By: Dotsilicon