নিজস্ব প্রতিবেদক,
ইন্টারনেটভিত্তিক সাইবার জগৎ এখন অপরাধের আখড়া। এমন কোনো অপরাধ নেই যা এই জগতে ঘটছে না। দেশে জঙ্গিবাদ বিস্তার থেকে শুরু করে যাবতীয় অপরাধ-প্রতারণার এক ভয়ঙ্কর ফাঁদে পরিণত হয়েছে দেশের সাইবার জগৎ। বিশেষ করে বহুল ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক কেন্দ্রিক নানা অপরাধ-প্রতারণা ঘটে চলছে অহরহ। সামান্য অসাবধানতার কারণে এর ব্যবহারকারী প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। কেউ কেউ পড়ছেন মারাত্মক হয়রানিতে।
মানুষ এখন কেবলই মার্কেটে গিয়ে কেনাকাটা করেন না, টুকটাক পণ্য থেকে শুরু করে দামি পণ্য পর্যন্ত কেনা হচ্ছে অনলাইন থেকে। ফলে দিন দিনই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে অনলাইন শপিং ব্যবস্থা। এরই ধারাবাহিকতায় অনেক অনলাইন সেলার এবং পেইজ এর মালিক তাদের পেইজ বুস্ট করানোর জন্য বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান গুলোর সাথে যোগাযোগ করেন।
আর এই সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে অনলাইনে এক জন ব্যক্তি নিজ নামে aahmadullahashraf ফেসবুক পেইজ খুলেন, যার লিংক হলো https://www.facebook.com/aahmadullahashraf আশরাফ নিজের বানানো পেইজ থেকে বিভিন্ন রকম লোভনীয় ব্যানার বানিয়ে পোস্ট করেন। এতে অনেকে তার সাথে যোগাযোগ করলে সে প্রথম পেইজ বুস্ট করার জন্য বিকাশ/নগদে টাকা নেয় পরে দেখা যায় ১/২ দিন বুস্ট চলে এর পর থেকে আর বুস্ট চলে না, পরে কাস্টমাররা তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে সে ফোন রিসিভ করেন না, এবং কাস্টমারদের কোনো ধরনের রেসপন্স করেন না ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অসংখ্য অনলাইন শপিং পেজ রয়েছে, যেগুলো নানা রকমের বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য এই আশরাফের সাথে মানুষ যোগাযোগ করেন। কিন্তু প্রথমে তার কাছ থেকে কাজ করানোর পরে তাকে আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাওয়া যায় না। এমতাবস্থায় সেই পেজ থেকেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায় না।
এই অনলাইন প্রতারণার শিকার সুমন জানান, সে তার একটি পেইজ এর রিচ ও বুস্ট বাড়ানোর জন্য আশরাফ এর সাথে অনলাইনে যোগাযোগ করলে অপর প্রান্ত থেকে আশরাফ তাকে আশ্বস্ত করেন যে টাকা দেওয়ার পরে কাজ হবে। কিন্তু সুমন বিকাশে তাকে ২৪০০ টাকা দেওয়ার পর থেকে আশরাফ তার সাথে আর কোনো যোগাযোগ করে নি, এবং তার পেইজ ও আইডি থেকে ব্লক করে রেখেছে। এবং তার ২ টা পেইজ এর নাম পরিবর্তন করে সে নিজ নামে ব্যবহার করছেন।
আরো একজন ভুক্তভোগী আব্দুর আজিজ এর সাথে আমরা কথা বললে ওনি জানান যে, সে দীর্ঘদিন আগে আশরাফের সাথে যোগাযোগ করেন , পরে তার ২ টা পেইজ বুস্ট করার জন্য তাকে প্রথমে বিকাশে ৭০০০ টাকা দেয় এবং পরের দিন আরো ৪৩০০ টাকা পাঠায় । কিন্তু ১ম দিন বুস্ট অন ছিল তার পর থেকে বুস্ট আর রান হয় নাই । এই বিষয় ভুক্তভোগী আশরাফ এর মোবাইল এ কল দিলে সে বার বার কল কেটে নাম্বার ব্লাক লিস্ট এ রেখে দেয়।
আশরাফের এই প্রতারনায় অনেক মানুষের অনলাইন ব্যবসা শেষ হয়ে যাচ্ছে, এবং তারা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করতে ও ভয় পায় কারন তাদের সকলের পেইজ এর আইডি পাসওয়ার্ড আশরাফ এর কাছে দেওয়া আছে। আশরাফ চাইলে যেকোন মূহুর্তে তাদের পেইজ নষ্ট করে দিতে পারে।
আশরাফ এই অভিনব প্রতারণা করে লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক বনে যাচ্ছে, তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে প্রতিবেদক তার ব্যবহারকৃত নাম্বার +880 1303-472451 এ অনেক বার চেষ্টা করলে সে ফোন রিসিভ করেন নি ।
মন্তব্য