তালতলী(বরগুনা)প্রতিনিধি,
বরগুনার তালতলীতে প্রেম সংক্রান্ত বিয়ষ নিয়ে প্রেমিকার বাড়িতে রাতে জিম্মায় রাখা হয়েছে মারুফা আক্তার(১৫)নামের এক তরুনীকে । সকালে নিজ বাড়ির পুকুর পাড় থেকে মারুফার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তরুনীর পরিবারের দাবি হত্যা করে লাশ পুকুর পাড়ে রাখা হয়েছে।
শুক্রবার(১৩ অক্টোবর) দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলার বেথিপাড়া এলাকা থেকে তরুনীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,উপজেলা ছোটবগী ইউনিয়নের বেথিপাড়া এলাকার মৃত্যু হানিফ হাওলাদারের মেয়ে মারুফার সাথে পাশবর্তী ঠংপাড়া এলা সুলতান পহলানের ছেলে হৃদয় পহলান(২৫) এর সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। এরই সূত্র ধরে গতকাল সন্ধ্যা আনুমানিক সাতটার দিকে হৃদয় ও মারুফা ঠাংপাড়া এলাকায় একটি বাগানে ভিতর দেখা করতে যায়। সেখান থেকে স্থানীয়রা তাদের আটক করেন। পরে উভয়কে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় হৃদয়ের বাড়িতে চাচা সোনা মিয়া ও বড় ভাই সোলেমানের কাছে নিহত মারুফাকে জিম্মায় রাখা হয় । বিষয়টি নিয়ে দুই পরিবারের সাথে আজ সকালে আলোচনা করে সমাধান করার কথা ছিলো।
এদিকে মারুফার ছোট বোন মারিয়া(১২) সকালে বাড়ির পুকুর পাড়ে ফুল গাছে পানি দেওয়ার জন্য যায়। এসময় বড়বোনকে পুকুর পাড়ে শুয়ে থাকতে দেখেন ও ডাকাডাকি করার পরেও না উঠলে চিৎকার করলে স্থানীয়রা ছুটে আসেন। পরে পুলিশ কে খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রেমিক হৃদয়কে থানায় এনেছে পুলিশ। পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বরগুনা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম তারেক রহমান। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে। ওই তরুণী আত্মহত্যা করেছেন না তাকে কেউ হত্যা করেছে বিষয়টি জানা যায়নি। লাশ উদ্ধারের পর থেকেই হৃদয়ের চাচা সোনা মিয়া ও ভাই সোলেমান হোসেন সহ তাদের পরিবারের সবাই পলাতক রয়েছে।
মারুফার ছোট বোন মারিয়া বলেন,গতকাল দুপুরে বড় আপুর ফোনে কল আসে। তার পরে আমাকে মামার বাড়িতে রেখে আসেন। সকালে পুকুর পাড়ে ফুল গাছে পানি দিতে গেলে আপুর লাশ দেখে চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসেন। এছাড়া আমি কিছুই জানি না।
তরুনীর খালু আয়নাল হোসেন আজকের পত্রিকা কে বলেন, প্রেমিক হৃদয়ের বাড়ি তার চাচা ও ভাইয়ের কাছে মারুফাকে জিম্মা রাখা হয়েছে। হত্যা করে লাশ পুকুর পাড়ে রাখা হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য এয়ানেত পিয়াদা আজকের পত্রিকা কে বলেন,ঠংপাড়া বাগান থেকে সন্ধায় উভয়কে আটক করেন স্থানীয়রা। পরে প্রেমিক হৃদয়ের বাড়িতে তার চাচার সোনামিয়া ও বড় ভাই সোলেমান এর কাছে মেয়েকে রাতে জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। সকালে একটা সিদ্ধান্ত করে করা হবে। তিনি আরো বলেন বিষয়টি আমি দুই পক্ষকে বলেছি ছেলে মেয়েকে থানায় নিয়ে যাও।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম তারেক রহমান আজকের পত্রিকা কে বলেন,ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি । এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। ঘটনাস্থলে পিবিআই ও সিআইডি টিম এসেছে। তারা তদন্ত করছেন। বিস্তারিত তদন্ত করে বলা যাবে । লাশ ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় হৃদয় নামে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। রিদয়কে আটক বা গ্রেফতার কি না সেটা পরে জানানো হয়ে আপনাদের।
মন্তব্য