রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪
 

এনটিআরসি নিবন্ধিত শিক্ষকদের ব্যাচ ভিত্তিক নিয়োগের দাবি

কণ্ঠস্বর ডেস্ক, ঢাকা
প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২২

---

বাপ্পি এদবরঃ ঢাকা ,

১৮ ই অক্টোবর,২০২২ রোজ মঙ্গলবার সকাল ১১ ঘটিকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে এনটিআরসি এর নিবন্ধিত শিক্ষকদের ব্যাচ ভিত্তিক নিয়োগের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
আজ অত্যান্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে ১৩৬ তম দিনে গণ-অনশন মাঠ থেকে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আপনারা সবই জানেন এবং বুঝেন, কোন আন্দোলন একদিনে সৃষ্টি হয় না।

আমরা বিগত দুই বছর ধরে বিভিন্ন সময় মানবন্ধন করেছি। সারা বাংলাদেশের জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে NTRCA, মাউশি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, এমনকি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কে স্মারকলিপি একাধিকবার প্রদান করেছি, শুধু তাই নয়, ইতোমধ্যে আগেও দুইবার সংবাদ সম্মেলন করেছি আজ আমাদের তৃতীয় সংবাদ সম্মেলন

২০০৫ সালের ২০ই মার্চ NTRCA এর মাধ্যমে পরীক্ষা গ্রহণ কার্যক্রম শুরু করে, শুরুতে সনদের মেয়াদ পাঁচ বছর বলবৎ থাকবে বলে উল্লেখ করা হয়। পরবর্তীতে সরকার জনস্বার্থের কথা বিবেচনা করে ২০০৬ সালে সনদের মেয়াদের উক্ত সীমাবদ্ধতা বিলোপ করে একটি সংশোধনী আনায়ন করেন। বিধি ১০ এর ১ (র) চতুর্থ তাফসীলে বর্ণিত কলাম ১৪ এর নিচে উল্লেখ করেন Note: “The certificate will remain valid for 5 years following the publication date of result কে বাকাটি বিলুপ্ত হইবে। শুধু তাই নয়, ৬ জুলাই ২০১৩ইং খ্রিস্টাব্দে NTRCA এর তৎকালীন চেয়ারম্যান মহোদয় (অজি সচিব) জনাব আশীষ কুমার সরকার এক চিঠিতে উল্লেখ করেন সকল ক্ষেত্রেই NTRCA কর্তৃক প্রান্ত প্রভায়ন পরের মেয়াদ প্রার্থীর চাকরি যোগ্য নাস পর্যন্ত থাকবে। এখানেই শেষ নয়, ২০০৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি NTRCA প্রতিষ্ঠা করার সময় ১০ (১) ধারার ভল্লেখ করা হয়েছিল কর্তৃপক্ষ সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের উদ্দেশ্যে যোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রণয়ন, নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন করিবে।
আপনারা জেনে অবাক হবেন যে, ২০০৬ সালের ৩০ শে জুলাই গেজেটে ৩(ক) এর (১) ধারায় উল্লেখ করেন যে, কর্তৃপক্ষ প্রতিবছর নভেম্বর মাসের মধ্যে জেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে জেলাধীন সংশ্লিষ্ট বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শূন্য পথের অধিন করেন উত্তীর্ণ প্রার্থীদের সেনা ভিত্তিক মুলতালিকা ব্যতীত শূন্য পদের সংখ্যা অতিরিক্ত শতকরা ২০ ভাগ প্রার্থী সমন্বয়ে অপেক্ষমান তালিকা করা যাইবে এবং মৃত্যু, চাকরি ত্যাগ, অনিচ্ছুক প্রার্থী বা অন্য কোন কারণে পদ শূন্য হইলে উক্ত তালিকা হইতে শিক্ষক নিয়োগ করা হইবে।

কাজেই উক্ত ধারাগুলি পর্যালোচনা করিলে ইহাই সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হয় যে, NTRCA এর শুরুতে উদ্দেশ্য ভালো থাকলেও কোন এক অফানা রহস্যের বেড়াজালে আজ আমরা বন্দি ফলে এই অসহনীয় যন্ত্রণা ও করুণ সেলয়বিদারক অবস্থা থেকে পরিত্রানের জন্য এবং NTRCA অদূরদর্শিতা ও অনিয়ম থেকে পরিত্রাণের জন্য আমরা মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি ও হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
আমরা গভীরভাবে লক্ষ্য করছি, প্রায় তিন মাস পূর্বে ১৯৫৬ জন জাল সনদধারীদের সনাক্ত করে সরকার তাদের চাকরিচ্যুত করে। তাদের বেতন ভাতা ও আনুতোষিক ফেরত দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছিলেন । দেরিতে হলেও যারা এই জাল সনদ শনাক্ত করে শাস্তি প্রদান করেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই, কিন্তু দুঃখের বিষয় এই সনদ জালিয়াতির সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে এখনো আইনের আওতায় আনা হয়নি । এই কারণে আমরা উৎকণ্ঠিত, উদ্বিগ্ন, ও হতাশাগ্রস্থ। ফলে কাল বিলম্ব না করে তাদেরও আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। তাছাড়া ১ম গণ বিজ্ঞপ্তিতে ০৫ (+) বাসীদের আবেদনের সুযোগ প্রদান করা হলেও, ২য় জন বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগ প্রদান করা হয়নি। এ কারণে ৩০(+) বয়সি নিবন্ধিত শিক্ষকদের একটি অংশ মহামানা সুপ্রিম কোর্টের দ্বার হলে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগ ৩৫ (+) বয়স নিবন্ধিত শিক্ষকদের আবেদনের সুযোগ দিতে আদেশ জারি করেন। সেই প্রেক্ষিতে NTRCA ৩য় গণ বিজ্ঞপ্তিতে ৩৫(+) বয়সী শিক্ষকদের আবেদনের সুযোগ দান করেন এতে অনেকের চাকরি হলেও তাদের বেতন পেতে বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। পরবর্তীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক আদেশে তাদের বেতন ছাড় করা হয়েছে । তাহলে দেখা যায় নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সের বেড়াজাল আর রইল NTRCA না এবং (+) ব্যাসীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট এরই আদেশ মেনে নিয়েছেন। অথচ এখন নানা জটিলতা সৃষ্টি করে তাদেরকে আধার নিয়োগের জন্য নানা ফন্দিফিকির এটে চলেছেন।

মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আদেশ কখনো মানছেন, আবার কখনো মানতে নারানা NTRCA অর্থাৎ সব সময় NTRCA যথেচ্ছাচার করে চলছেন। এটা হতে পারে না। আমরা তাদের এহেন খামখেয়ালীপনা আচরণে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছি।

কারণ ১২/০৬/১৮ ইং তারিখের পূর্বে সনদ প্রাপ্ত ১-১২ তম নিবন্ধন ধারীদের চাকুরীতে প্রবেশের ব্যাস ৩৫(+) শিথিলযোগ্য। যাহা সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।

আপনারা জেনে আরও অবাক হবেন যে, গত ৩য় গাণ বিজ্ঞপ্তিতে ৫৪৩০৪ জন শিক্ষকের নিয়োগের সুপারিশের উল্লেখ করলেও মাত্র ১৪৪৪৬ জন শিক্ষককে নিয়োগ দিতে সক্ষম হয়েছেন NTRCA আর ২২০০০ জন ইন্ডেক্সধারী শিক্ষকদের নিয়োগ দিয়েছেন। প্রকারন্তরে ওই সকল ক্ষে করেছেন তাদের পক্ষের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। তাছাড়া ২২০২টি পদকে ব্লক পোস্ট করে নিয়োগ নিশ্চিত করেছেন ১৩ তম নিবন্ধিত শিক্ষকদের। অন্যদিকে ১৫০০০ শিক্ষকদের জন্য কোন যোগ্য শিক্ষক পাওয়া যায়নি বলে NTRCA উল্লেখ করেছেন। অথচ আমরা হাজার হাজার শিক্ষক আন্দোলন করছি ওই সকল প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেওয়া হয়নি কোন অজানা রহস্যের কারণে।

আমরা আরো গভীর ভাবে লক্ষ্য করেছি ৩০/৪০ হাজার বৈধ যোগ্য সনদধারী রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছি অথচ NTRCA বলছে যোগ্য শিক্ষক পাননি। সাম্প্রতিককালে সংশোধিত তথ্যমতে ৭০ হাজার শূন্যপদ রয়েছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অথচ আমরা ৩০/৪০ হাজার শিক্ষক বেকার হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছি। NTRCA ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদিচ্ছা থাকলে আমাদেরকে অবশ্যই প্যানেল করে ব্যাচ ভিত্তিক স্ব স্ব নীতিমালার আলোকে একযোগে নিয়োগ দেয়া সম্ভব বলে আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রত্যাশা করি।

আমরা আরো গভীরভাবে উদ্বেগের সহিত লক্ষ্য করছি যে, গত ৫ই জুন ২০১২ ইংরেজি তারিখ হতে শাহবাগ কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী এর সামনে অনশনের মত একটি নির্মম, নিষ্ঠুর, কর্মসূচি পালন করে আসছি। কিন্তু NTRCA বা শিক্ষা। মন্ত্রণালয়ের এতটুকু সহানুভূতি কিন্তু হৃদয়ে কোন আঁচড় লাগেনি। তাই আমরা আজ এই সংবাদ

সম্মেলনের মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ও NTRCA এর কাছে উদাত্ত আহ্বান রাখতে চাই যে, আমাদের এই তিন দফা দাবি অবিলম্বে মেনে নিন।

(১) এক আবেদনে নিবন্ধনধারী চাকুরী প্রত্যাশীদের কোটা বিহীন প্যানেলে নিয়োগ দিতে হবে।

(২) চাকুরী প্রত্যাশীদের স্ব স্ব নীতিমালায় নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত নিবন্ধন পরীক্ষা বন্ধ রাখতে হবে। (৩) ইনডেক্সধারীদের প্যানেলের অন্তর্ভুক্ত না করে আলাদা বদলির ব্যবস্থা করতে হবে।

অন্যথায় আমরা উপযুক্ত কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করতে বাধ্য হব। এমনকি আমরা প্যানেল প্রত্যাশী নিবন্ধিত শিক্ষকরা আত্মাহুতির পথকে বেছে নিতে কুণ্ঠাবোধ করব না। এক্ষেত্রে NTRCA সহ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের সাথে জড়িত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে
, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও কথাসাহিত্যিক এ ড: জাফর ইকবাল স্যার আমাদের গণ অনশন মাঠে এসে সংহতি প্রকাশ করেছেন এবং তিনি ১৩ জুন একটি দৈনিক পত্রিকায় কমনসেন্সের বাইরে শিরোনামে যে প্রবন্ধটি লিখেছেন তাতে করে এটা দিবালোকের ন্যায় সুস্পষ্ট যে, আমাদের দাবি গুলো ন্যায় ও আইনত অধিকার।
কেউ আমাদের এই দাবি থেকে ওঠাতে পারবে না

সবচেয়ে আশার কথা এই যে, শিক্ষা মন্ত্রাণালয়ের সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি সদস্য কুড়িগ্রাম-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য প্রঃ এম এ মতিন স্যারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। তিনি আমাদের মাঝে উপস্থিত হয়ে আমাদের দাবি গুলি যে ন্যায্য সেটি বিশেষভাবে উপলব্ধি করেছেন এবং সংহতি প্রকাশ করে বলেন NTRCA যে অব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত এতে করে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুদ্র হচ্ছে। ফালে তিনি গত১০/০৮/২০১২ ইং তারিখে স্থায়ী কমিটির মিটিংয়ে আমাদের বিষয়টিকে নিয়ে আলোচনা করেছেন। শুধু তাই নয় একটি সাক্ষাৎকারে পঃ এম এ মতিন স্যার একটি মতামত তুলে ধরেছেন যে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, NTRCA এবং আন্দোলনকারী শিক্ষকদের নিয়ে একটি আলোচনা করে আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়ে বিষয়টি সুরাহা করা যেতে পারে। এ কারণে আমরা উনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সাথে সাথে আরো আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জনাব জি এম কাদের এমপি, লালমনিরহাট ০৩ আসন থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য কে। যিনি আমাদের কষ্টের কথা উপলব্ধি করে মহান জাতীয় সংসদে জোরালো ভূমিকা পালন করেছেন। সাথে সাথে আরো ধন্যবাদ জানাচ্ছি, গাইবান্ধা-১ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামিম হায়দার পাটোয়ারী, এমপি মহোদয়কে। তিনি ও আমাদের নিয়োগের অধিকার থেকে বঞ্জিত হওয়ায় আমাদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে সরকারের দৃষ্টিতে আমাদের দাবীর স্ব-পক্ষে মহান সংসদে জোরালো ভূমিকা পালন করেছেন।
আপনারা জেনে থাকবেন যে, বাংলাদেশের একজন প্রথিতযশা সাংবাদিক এসএম আলাস স্যার বিটিভি তে একি সাক্ষাৎকারে আলোচনায় অংশ নিয়ে আমাদের প্যানেল প্রত্যাশী নিবন্ধিত শিক্ষকদের সংগঠনের তিন দফা দাবি সম্পর্কে হৃদয়ঙ্গম করে অত্যন্ত চমৎকার যুক্তি উপস্থাপন করেছেন। যাহা সুধীজন, বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজের কাছে সর্বাধিক সমাদৃত হয়েছে। আমরা সংঘনের পক্ষ থেকে উনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই এই সুচিন্তিত মতামতের

কি পেলাম আমরা, ১৭ বছর ধরে অপেক্ষা করছি কিন্তু অপেক্ষার প্রহর যেন শেষ হচ্ছে না বাংলাদেশ গেজেটের ৩(ক), (ঘ) ১০ ধারার বিধান গুলি মেনে নিয়ে এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের রায় মেনে নিজে সকল সমস্যার সমাধান হবে বলে আমাদের বিশ্বাস ।তাছাড়া NTRCA এর সাবেক চেয়ারম্যান মহোদয় স্বীকারও করেছেন এবং একটি নোটিশ দিয়েছেন সনদের মেয়াদ চাকরি যোগ্য কাল পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এর অর্থ দাড়ায় অবসর গ্রহণের দিন ও যদি কোন নিবন্ধিত শিক্ষক নিয়োগ পান তাতে আইনগত বাধা নেই।

কাজেই কাল বিলম্ব না করে আমাদের তিন দফা ন্যায্য দাবী অবিলম্বে মেনে নিন। এবং আমাদের আইনগত অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে আপনারা আপনাদের দায়মুক্ত হোন। মনে রাখবেন, আমাদের আইনগত অধিকার হরণ করতে কেউ পারবেন না।

সর্বোপরি বলবো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তার নির্বাচনী ইশতেহার প্রতিপালন করে থাকে। এমনকি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা প্রত্যেক ঘরে ঘরে চাকরি দিবেন এবং সরকারের একান্ত ইচ্ছা আছে। কিন্তু NTRCA আমাদেও সাথে স্বেচ্ছাচারী আচরণ করেই চলেছেন। ফলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি। তাছাড়া জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু একটি আবেগ আপ্লুত বক্তব্য এখানে প্রণিধানযোগ্য বঙ্গবন্ধু আক্ষেপ করে একবার বলেছিলেন সাত কোটি বাঙালি সাড়ে সাত কোটি কম্বল দিলাম আমার কম্বলটি কোথায় আমিও তো বাংলার সন্তান। ফলে সরকারের যে ইচ্ছা প্রতিটি ঘরে ঘরে চাকরি দিবেন অথচ প্যানেল প্রত্যাশী নিবন্ধিত শিক্ষক সংগঠনের ৩০/৪০ হাজার পরিবারের ঘরে ঘরে চাকরি পাওয়ায় অধিকারকে কারা কেড়ে নিল, অবশ্যই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খতিয়ে দেখবেন বলে আমরা প্রত্যাশা করি। সর্বোপরি বলব স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যে স্বপ্ন ছিলো সোনার বাংলা গড়ার। আমারও যেন সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে মাথা উঁচু করে বলতে পারি সোনারবাংলা গড়তে আমরাও অন্তত শিক্ষা ক্ষেত্রে এতটুকু অবদান রাখতে পেরেছি। যাহা জননেত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে অনন্য অধ্যায় হিসাবে চির অম্লান হয়ে থাকবে বলে আমাদের আন্তরিক বিশ্বাস |

মন্তব্য

সর্বশেষপঠিত

এলাকার খবর

Developed By: Dotsilicon