নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি,
নারায়ণগঞ্জের ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে জেলা পরিষদের নির্বাচন। চেয়ারম্যান ও দুই সদস্য পদে তিনজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হওয়ায় তিনটি সাধারণ সদস্য ও দু’টি সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকাল নয়টা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত জেলার পাঁচটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলে।
নির্বাচন অফিস থেকে পাওয়া বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী, এক নম্বর ওয়ার্ডে দুই প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম ও মজিবুর রহমান ১৫টি করে ভোট পেয়েছেন। অপর দুই প্রার্থী মো. আলাউদ্দিন ও সায়েম রেজা পেয়েছেন যথাক্রমে ৩ ও ১ ভোট। এই ওয়ার্ডে ৩৭ ভোটের মধ্যে ৩৫টি ভোট পড়ে। বাতিল হয় একটি। এই কেন্দ্রে দুই কাউন্সিলর ভোট দেননি।
দুই প্রার্থী সমান ভোট পাওয়ায় এই ওয়ার্ডে মঙ্গলবার লটারির মাধ্যমে বিজয়ী নির্বাচিত করা হবে বলে জানান সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আফরোজা আক্তার।
দুই নম্বর ওয়ার্ডে ৯৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মাসুম আহম্মেদ। এই ওয়ার্ডে অপর প্রার্থী আমিরউল্লাহ রতন ২, জাহাঙ্গীর হোসেন ৫৮ ও রাসেল শিকদার ২টি ভোট পেয়েছেন। তবে মোস্তফা চৌধুরী ও মোবারক হোসেন নামে দুই প্রার্থী কোন ভোটই পাননি। এই ওয়ার্ডে মোট ১৬২ ভোটের মধ্যে তিনটি বাতিল হয়।
তিন নম্বর ওয়ার্ডে ৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আবু নাঈম ইকবাল। অপর প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান ৪৯ ভোট পেয়েছেন। এই ওয়ার্ডে ১৩২টি ভোটের সবগুলোই বৈধ ছিল।
চার ও পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে যথাক্রমে মো. আলাউদ্দিন ও আনছার আলী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হন।
এদিকে সংরক্ষিত নারী সদস্য পদের এক নম্বর ওয়ার্ডে ১২৬ ভোট পেয়ে সাদিয়া আফরিন নির্বাচিত হয়েছেন। অপর দুই প্রার্থী আছিয়া খানম সুমি ও নাছরিন আক্তার যথাক্রমে ১৯ ও ৪৮ ভোট পান। এই ওয়ার্ডে ১৯৪টি ভোট পড়ে। বাতিল হয় একটি।
দুই নম্বর ওয়ার্ডে ২০৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন সীমা রানী পাল। এই ওয়ার্ডে অপর দুই প্রার্থীর মধ্যে অ্যাডভোকেট নূরজাহান ২৮, শাহিদা মোশারফ ১৭২ ভোট পান। আরেক প্রার্থী হাওয়া বেগম কোন ভোট পাননি। মোট ৪০৬ ভোটের মধ্যে একটিও বাতিল হয়নি।
মন্তব্য