টিয়ার গপ্পো’ বা ‘সেলাই জীবন’ কিংবা ‘হাজংদের জীবন সংগ্রাম’ বানিয়ে হাত পাকিয়েছেন তরুণ নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতি। এবার পুরোদমে নেমে পড়লেন নিজের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনীচিত্র নির্মাণে! কাহিনীর প্রয়োজনেই বিরাট বহর নিয়ে গত ১৩ তারিখ থেকে শুটিং করছেন রাজধানী শহর থেকে বহু দূরে, দুর্গম অঞ্চলে। সেখান থেকেই সংবাদমাধ্যমকে তরুণ এই নির্মাতা জানালেন, ‘জীবন বাজি রেখে করছি নিজের প্রথম ছবির শুটিং। সবাই আমাদের পাশে থাকবেন।’ তার প্রথম সিনেমার নাম ‘নয়া মানুষ’। ৬৫ জন ইউনিট ও স্থানীয় ২ শতাধিক মানুষ সিনেমাটির সঙ্গে আছেন বলেও জানালেন বয়াতি।
এরইমধ্যে দশ দিন শুটিং করেছেন। সেই অভিজ্ঞতার গল্পও শোনালেন নির্মাতা। বললেন, সবাই এত সহযোগিতা করছে নিজেকে ভাগ্যবান মনে হচ্ছে। অভিনেতা রওনক হাসান, মৌসুমী হামিদ, আশীষ খন্দকার সহ স্থানীয় মানুষরা এত আন্তরিকভাবে সহযোগিতায় এগিয়ে আসছেন কাজটাকে সফল করার জন্য, আমি অভিভূত! ‘নয়া মানুষ’ এর প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করছেন রওনক হাসান এবং মৌসুমী হামিদ। আ. মা. ম. হাসানুজ্জামান এর ‘বেদনার বালুচর’ গল্প অবলম্বনে মাসুম রেজা’র চিত্রনাট্যে নির্মিত হচ্ছে সিনেমাটি।
‘নয়া মানুষ’ নিয়ে পরিচালক আরও বলেন, ‘নদীর এক কূল ভেঙে অন্য কূল গড়ে- তেমনি ভাসতে ভাসতে মানুষও এক চর থেকে আরেক চরে চলে যায়। নতুন মানুষ চরে এলে কীরকম সংকট বা সমস্যার সৃষ্টি হয় সেটা নিয়েই গল্প। এটার মধ্যে প্রেম, প্রকৃতি, ভালোবাসার ও জীবনদর্শনের গল্পও দেখবেন দর্শক।’ চলচ্চিত্রটিতে আরও অভিনয় করেছেন আশীষ খন্দকার, বদরুদ্দোজা, সরন সাহা,আ.মা.ম হাসানুজ্জামান, নিলুফার ওয়াহিদ পাপড়ি, সানজানা, পারভিন পারু, মাহিন রহমান, এ্যাঞ্জেলা, শিশু শিল্পী উষশী সহ চরের ২০০ গ্রামবাসী। একটানা শুটিং শেষ করে এ মাসের শেষে ঢাকায় ফিরবে পুরো ইউনিট এমনটাই জানালেন বয়াতি।মুক্তির পরিকল্পনা চূড়ান্ত না হলেও, চলতি বছরের শেষ দিকে না হলেও আগামী বছরের শুরুতেই বড় পর্দায় ‘নয়া মানুষ’ মুক্তি দিতে আগ্রহী বয়াতি।
মন্তব্য