অমল তালুকদার: পাথরঘাটা,
দুদিন ধরে দূর্যোগ কবলিত পাথরঘাটার জনজীবন। সোমবার ভোর থেকে বিদ্যুতবিহিন ভুতুরে অবস্থায় গৃহবন্দী বন্যাদূর্গত মানুষ। রাস্তায় লোকজন নেই। তলিয়েছে আবাদি জমি ও জনপদ। উপকূলীয় জনজীবনে আতঙ্ক কখন আছড়ে পরে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় সিতরাং!
বরগুনার পাথরঘাটা সহ গোটা উপকূলজুড়ে বিরামহীন অঝোর বর্ষণ সাথে দমকা বাতাস মুহুর্মুহু আঘাত হেনে চলছে। শিশু-বৃদ্ধ সহ সকল শ্রেণির মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই পাথরঘাটা ও এর আশেপাশের এলাকার সেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে জানানো হয়েছে।
সোমবার সকাল ১০টার দিকে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা প্রশাসন ঘূর্ণিঝড় সিত্রাঙ্গ মোকাবেলায় জরুরী বৈঠক করেছে বলে জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির। পাথরঘাটা শহরে প্রশাসন ও সিপিবি এবং যুব রেডক্রিসেন্টে সেচ্ছাসেবকের পক্ষ থেকে আলাদা আলাদা ভাবে মাইকিং করে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহি অফিসার সুফল চন্দ্র গোলদার জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় ১২৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত সহ সকল ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে তার।
সোমবার দুপুরের দিকে পাথরঘাটা সদর ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসাইন তার লোকজন দিয়ে মোটরবাইকে সতর্ক সংকেত জানিয়ে স্থানীয়দের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছেন। এছাড়াও যুব রেডক্রিসেন্টের সদস্য ও সিপিবির স্বেচ্ছাসেবকরা রয়েছেন মাঠে।
বিষখালী,পায়ড়া এবং বলেশ্বর নদীতে প্রচন্ড তুফান এবং জোয়ারে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সমুদ্র উত্তাল। পাথরঘাটার দক্ষিণ উপকূলীয় এলাকার মানুষ রয়েছে চরম আতঙ্কে। সেখানকার বেরী বাঁধ ঝুকিপূর্ণ।
কিছু এলাকার আশ্রয়কেন্দ্র গুলো রয়েছে প্রভাবশালীদের দখলে।
আতঙ্কিত উপকূলবাসী প্রতি মুহূর্তে খবর জানার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় রয়েছেন সক্রিয়।
মন্তব্য