ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সোমবার রাতে বিষখালী নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগী উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সড়কে গাছ উপড়ে পড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
ধেয়ে আসছে সিত্রাং এমন খবরে উপকূলীয় বেতাগীর বিষখালী তীর জুড়ে মানুষের মধ্যে চলছে আতঙ্ক। গত রবিবার রাত থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত মাঝারি ধরনের বৃষ্টি। দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলছে প্রবল বৃষ্টি এবং সেই সঙ্গে যুক্ত রয়েছে প্রচণ্ড বাতাস। রবিবার গভীর রাত থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
উপকূলীয় এ অঞ্চলের পায়রা ও বিষখালীর মাঝখানে বেতাগী উপজেলার অবস্থান। এতে মানুষের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাংয়ের’ আতঙ্ক বিরাজ করছে। হোসনাবাদ বাজার সংলগ্ন বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি গ্রামে প্রবেশ করছে। এছাড়া বিষখালী নদীর তীরে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ সংলগ্ন মানুষদের মধ্যে রয়েছে চরম আতঙ্ক।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সকল আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার রাত ১১টার দিকে কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, জনসাধারণের উপস্থিতি খুবই কম। রাতে জোয়ারে পানিতে উপজেলার ডিসির হাট, দেশান্তরকাঠী, পুটিয়াখালী, ছোট মোকামিয়া, করুণা, বদনীখালী, ভোড়া কালিকাবাড়ি, হোসনাবাদ ইউনিয়নের জলিসা বাজার, সরিষামুড়ি, চরখালীসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুহৃদ সালেহীন বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসনের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। জনসাধারণের নিরাপদে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং ইতোমধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে স্বেচ্ছাসেবক কর্মীদের মাধ্যমে শুকনো খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।’
মোঃ নিজাম উদ্দিন স্বাধীন
বেতাগী বরগুনা প্রতিনিধি
মন্তব্য