ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে উপকূলীয় ৪১৯ ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আর গাছচাপায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সিত্রাং নিয়ে পূর্বাভাস ছিল অনেক ক্ষতি হবে। কিন্তু আল্লাহর কাছে শুকরিয়া যে, এটি ঘূর্ণিঝড়ই ছিল, প্রবল বা সুপার সাইক্লোন হয়নি। আমাদের যে ধারণা ছিল, তারও আগে এটি বাংলাদেশ পার হয়।’
এনামুর রহমান বলেন, পটুয়াখালী, ভোলা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম দিয়ে অতিবাহিত হয়েছে সিত্রাং। আমরা ৬ হাজার ৯২৫ আশ্রয়কেন্দ্রে ১০ লাখ মানুষকে নিয়ে আসতে পেরেছিলাম। মধ্যরাত থেকেই তারা আশ্রয়কেন্দ্র ত্যাগ করে। ভোরের মধ্যে এগুলো খালি হয়। ভাটা থাকায় ঘূর্ণিঝড়ের সময় ভোলা ছাড়া অন্য কোথাও জলোচ্ছ্বাস হয়নি।
তিনি বলেন, ৪১৯ ইউনিয়নে ১০ হাজার ঘরবাড়ি, ৬ হাজার হেক্টর জমি ও ১ হাজার মাছের ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর গাছ চাপা পড়ে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। সব মৃত্যুর কারণ, ঘরের উপর গাছ পড়া।
মন্তব্য