যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন ঋষি সুনাক। আগামী শুক্রবার শপথ নেবেন তিনি। নানা গুঞ্জন শেষে গত সোমবার ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুনাকের ওপরই আস্থা রাখল কনজারভেটিভ পার্টি। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ফের জোরালো দাবি উঠেছে কোহিনূর হীরা ভারতে ফিরিয়ে আনার। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে কনজারভেটিভ পার্টির (টোরি) ৩৫৭ জন সাংসদের অর্ধেকেরও বেশি রায় দিয়েছেন সুনাকের পক্ষে। এর আগে রোববার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্ত নেন ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। আর সোমবার শেষ মুহূর্তে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী পেনি মর্ডান্ট। ফলে জয় নিশ্চিত হয়ে যায় ঋষি সুনাকের। আর এ ঘোষণা আসতেই কোহিনূর হীরা ভারতে ফেরানোর দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে নেটদুনিয়া।
ঋশভ নামের এক টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন: ‘দ্য এমপায়ার স্ট্রাইকস ব্যাক। ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ঋষি সুনাক। এবার কোহিনূর ফেরত পাঠিয়ে দিন।’ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ঋষি সুনাকের একটি ছবি পোস্ট করে আরেকজন লিখেছেন: ‘কোহিনূরকে কীভাবে ভারতে ফেরানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা করছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি ও প্রধানমন্ত্রী সুনাক।’ শশাঙ্ক কুমার নামের এক টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন: ‘ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ঋষি সুনাক। তাকে অভিনন্দন। ইউকে-কে আর্থিক সংকট থেকে বের করে আনার পর আশা করছি তিনি কোহিনূর, অমরাবতী স্তূপ, বিজয় মালিয়া ও নীরব মোদিকে ভারতে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করবেন।’ ১৮৪৯ সালে ভারত থেকে কোহিনূর হীরা ইংল্যান্ডে নিয়ে যায় ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। সেখানে রানি ভিক্টোরিয়া হীরাটিকে রাজভূষণের অংশ করে নেন। ১৯৩৭ সালে রাজা পঞ্চম জর্জের রাজ্যাভিষেকের সময় তার স্ত্রী রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মুকুটে বসানো হয় সেই কোহিনূর। আগামী বছর রাজ্যাভিষেক হতে চলেছে রাজা তৃতীয় চার্লসের।
সম্প্রতি বাকিংহাম প্যালেসের পক্ষ থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ২০২৩ সালের ৬ মে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে হবে অনুষ্ঠান। ওই অনুষ্ঠানে ক্যামিলাকেও রানি ঘোষণা করা হবে। তিনি কোহিনূরখচিত মুকুট পরবেন। কিন্তু চার্লসের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে ক্যামিলার মুকুটে কোহিনূর নিয়ে বিজেপি আপত্তি জানিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিভিন্ন ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবরে। সম্প্রতি দ্য টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ভারত সরকারের আপত্তির পর চার্লসের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে ক্যামিলার মুকুটে কোহিনূর হীরা থাকবে কি না-এই প্রশ্নে দ্বিধায় ভুগছে বাকিংহাম প্যালেসও। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
মন্তব্য