ব্যবসায়ীদের দেশ ও মানুষের কল্যাণে চিন্তা করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর আমাদের ব্যবসায়ীরা সে যে দলেরই হোক আমরা দল বাছতে যাইনি। যে দলেরই হোক, যাতে তারা ব্যবসাটা ব্যবসায়ী হিসেবে করতে পারে সেই পরিবেশটা কিন্তু আমি সৃষ্টি করে দিয়েছি।
আজ বুধবার গণভবনে ভোগ্যপণ্য আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানে কোনো হাওয়া ভবনও নেই, আর পিএমওতে কোনো উন্নয়ন উইংও নাই।
যে হাওয়া ভবনে এক ভাগ দিতে হবে, উন্নয়ন ভবনে এক ভাগ দিতে হবে বা অমুক জায়গায় দিতে হবে। এই যন্ত্রণা তো আপনাদের ভুগতে হয় না এখন আর। এটা তো আপনারা নিশ্চয় শিকার করবেন। সেই যন্ত্রণা থেকে তো সবাই মুক্ত।
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এই ১৪ বছর একটানা ধারাবাহিকভাবে আপনারা লাভজনক ব্যবসাটা করে গেছেন, এখনকার আমরা কিন্তু করোনার সময়ও সেটা মোকাবিলা করলাম। প্রণোদনা দিলাম, আমার কাছে কেউ এসে দাবি করেননি। কেউ বলে নাই। কিন্তু আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার একটা টিম খুব ভালো কাজ করছিল, যে কোথায় কী করা যেতে পারে। অর্থনীতির চাকাটা চলমান রাখতে হবে।
তিনি আরো বলেন, পৃথিবীর উন্নত দেশগুলো তাদের শিল্পকারখানা বন্ধ, তাদের সমস্ত কর্মকাণ্ড বন্ধ, সবকিছু। আমরা বলেছি আমরা এখানে বন্ধ হতে দেব না। আমার এখানে চালু করে রাখতে হবে। শ্রমিকদের বেতন, গার্মেন্ট, তার বেতন তো আমি দিয়ে দিলাম সব। প্রণোদনা প্যাকেজ করলাম, বিশেষ বরাদ্দ দেওয়ার ব্যবস্থা করলাম।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
ব্যবসায়ীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিনসহ দেশের শীর্ষ কয়েকজন ব্যবসায়ী।
মন্তব্য