একটি মেছোবাঘ বিক্রির চেষ্টা করছিলেন কয়েকজন যুবক—এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি দল পাঠান কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শুভাশিষ ঘোষ। পুলিশের ওই সদস্যরা মেছোবাঘটি উদ্ধার করে নিয়ে আসেন ইউএনও-র কার্যালয়ে।
শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউএনও শুভাশিস ঘোষ।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে মেছোবাঘটি কুমিল্লা সামাজিক বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিন সকালে উপজেলার চৌয়ারা ইউনিয়নের চিকুটিয়া গ্রামে এক মুরগির খামারের মালিক বশির আহমেদ ফাঁদ পেতে আটক করেন মেছোবাঘটিকে ।
এ বিষয়ে বশির আহমেদ জানান, তার মুরগির খামারে প্রায়ই হামলা করতো মেছোবাঘটি। রাতভর পাহারা বসিয়ে বাঘটি বৃহস্পতিবার ভোরে আটক করেন তিনি।পরে স্থানীয় কয়েক যুবক এসে বাঘটি নিয়ে যান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বশিরের কাছ থেকে নিয়ে যাওয়ার পর এলাকার কয়েক যুবক মেছোবাঘটি বিক্রির চেষ্টা করছিলেন। মুহূর্তের মধ্যে বাঘটি বিক্রির খবর ছড়িয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খবর পেয়ে ইউএনও পুলিশের সদস্যদের পাঠিয়ে বাঘটি উদ্ধার করে নিয়ে গেছেন।
ইউএনও শুভাশিস ঘোষ বলেন, বৃহস্পতিবার আমি জানতে পারি, ওই গ্রামে একটি মেছোবাঘ ফাঁদে ধরা পড়েছে বলে খবর পাই। কয়েকজন বাঘটিকে বিক্রির চেষ্টা করছে এমন খবর পেলে আমি দ্রুত পুলিশের সদস্যদের পাঠিয়ে সেটিকে উদ্ধার করি।
তিনি আরও বলেন, মেছোবাঘটিকে উদ্ধারের পর প্রথমেই এটিকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে বিকেলে কুমিল্লা সামাজিক বন বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উদ্ধার করা বাঘটি উপজেলার রাজেশপুর এলাকার শালবনে অবমুক্ত করা হবে বলে তিনি জানান।
মঈন নাসের খাঁন রাফি
কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি
মন্তব্য