শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
 

দশমিনায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ নিধনে ২২ দিনে ২১ জেলে আটক

JK0007
প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০২২

 ---

মুনতাসির তাসরিপঃ দশমিনা,

মধ্যরাতে কখনো সাধারণ মানুষের বেশে ঘুরে বেড়ানো, আবার কখনো কোনো ব্রীজের উপর বসে থাকা আগন্তুক মানুষ,আবার কখোনো ইলিশ মাছ কেনার জন্য দালালকে দিয়েছেন ১০০ টাকা বানা,
ইউএনও’র এমন দুঃসাহসিক অভিযানের মধ্য দিয়ে পটুয়াখালীর দশমিনায় শেষ হলো ইলিশ নিষেধাজ্ঞা।

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ নিধনে যখন ব্যাস্ত হয়ে পরেছিলেন জেলেরা ঠিক সেই মূহুর্তেই উপজেলা প্রশাসন, মৎস অধিদপ্তর ও নৌ-পুলিশের যৌথ অভিযানে আটক করা হয় ২১ জন জেলেকে এবং ৩০ লক্ষ মিটার জাল পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয় যার মুল্য আনুমানিক ৫ কোটি টাকা।আটককৃত ২১ জনের ১৪ জনকে ১ বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান ও ৭ জনকে জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল। এ সময়ের মোট জরিমানার পরিমান আনুমানিক ১৪ লক্ষ টাকা এবং প্রায় ৪ মন মা ইলিশ জব্দ করে উপজেলার বিভিন্ন মাদরাসা ও এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।

ইলিশ রক্ষায় ইউএনও’র পদক্ষেপ যেনো নজর কেড়েছে সবার। যেকোনো সময়ই অভিযান পরিচালনার জন্য প্রস্তুত ছিলেন দশমিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল। ইলিশ মাছ হরন বা বিপণনের খবর পেলেই তৎক্ষনাৎ ছুটে গিয়েছেন তিনি।

এছাড়া মধ্যরাতে ইউএনও’র হেটে হেটে অভিযান পরিচালনার খবরও পাওয়া গেছে। জানা যায়, তথ্য সংগ্রহের জন্য তিনি এলাকার তরুণ যুবকদের নিয়ে
কয়েকটি চৌকশ টিম গঠন করেন। এসব টিমের সদস্যরাও ইলিশ রক্ষায় কঠোর শ্রম দিয়েছেন।

উপজেলা মেরিন ফিশারিজ অফিসার নাজমুল হাসান পলাশ জানান, ২২ দিনের কঠোর অভিযানের মাধ্যমে আমাদের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। আমরা মোট ১০১ টি বাজার পরিদর্শন,২১ টি মোবাইল কোর্ট এবং ৮৩ টি অভিযান পরিচালনা করে ৩০ লক্ষ মিটার জাল উদ্ধার করতে সক্ষম হই যার আনুমানিক মুল্য ৫ কোটি টাকা এবং ১০৫ কেজি ইলিশ জব্দ করি।আমরা এ পর্যন্ত ১৫ টি ট্রলার জব্দ করেছি যা নৌ-পুলিশের জিম্মায় রয়েছে । আমাদের উপজেলা নির্বাহী অফিসার যেভাবে দিন-রাত নিরলসভাবে কাজ করেছেন এটা সত্যিই দশমিনাবাসীর কাছে ইতিহাস হয়ে থাকবে। পরিশেষে বলতে চাই, আমাদের এবারের অভিযান সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
হাজিরহাট পুলিশ ফাঁড়ির আইটি অফিসার সুরুজ আল মামুন বলেন, আমি আরও অনেক জায়গায় দায়িত্ব পালন করেছি কিন্তু এইবারে আমাদের ইউএনও স্যারের ভুমিকা ছিল অসাধারণ।রাত ৩-৪ যখনই স্যারকে কল করতাম তখনই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতেন। অনেক জায়গায় স্যার নিজেও মুভ করতেন, যা সত্যিই প্রশংসনীয় কাজ। সব মিলিয়ে আমাদের অভিযান পরিচালনাকালে সার্বিক পরিস্থিতি অনুকূলে ছিলো এবং কোনো রকম সমস্যা হয়নি।

মন্তব্য

পঠিতসর্বশেষ

এলাকার খবর

Developed By: Dotsilicon