হাছিবুল ইসলাম সবুজ: কুবি,
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের আর্ট এন্ড হেরিটেজ সোসাইটির উদ্যোগে প্রাগৈতিহাসিক থেকে ঔপনিবেশিক সময় পর্যন্ত প্রত্ন প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার ৩০( অক্টোবর) সকাল ১১ টায় শোভাযাত্রা, কেক ও বেলুন উড়িয়ে ব্যাডমিন্টন কোর্টে এ প্রদর্শনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রদর্শনীতে মিশরীয় সভ্যতা, সিন্ধু সভ্যতা, মহাস্থানগড়, ময়নামতি, শালবনবিহার, পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার, এছাড়াও প্রাগৈতিহাসিক যুগের বিভিন্ন যুগের স্তরসমূহ দেখানো হয়।
প্রত্নতত্ত্ব প্রদর্শনী সম্পর্কে প্রত্নতত্ত বিভাগের ১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী সুমন হোসাইন বলেন,’ আমরা প্রথম বারের মতো প্রত্নতত্ত্ব সপ্তাহ পালন করেছি। এটি আমাদের জন্য আনন্দের ও শিক্ষনীয় বিষয় যা থেকে শিক্ষার্থীরা ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জানতে পারবে। এছাড়াও আমরা শৈল্পিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীর সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টা সহকারী অধ্যাপক ড. মাহমুদুলহাসান খান বলেন, প্রত্নতত্ত্ব প্রদর্শনীর মাধ্যমে মানুষের যে একটা আবর্তন হয়েছে তা আমরা ছবির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বুঝানোর চেষ্টা করেছি।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, আমি প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সপ্তাহে এসে খুবই উজ্জীবিত ও আনন্দিত। আমি বিশ্বাস করি এই ধরনের আয়োজন করা উচিত। পাশাপাশি এমন ঘটনাগুলি বিস্তৃত সম্পর্ক সৃষ্টিতে সহায়তা করে। এটা আমাদের প্রত্নতত্ত্বের উন্নতি ও উন্নয়ন জানার পাশাপাশি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মান-মর্যাদা বৃদ্ধি করছে।
প্রত্ন প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান, ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা কার্যালয়ের পরিচালক ড. মোহা হাবিবুর রহমান, প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দিন, সহকারী অধ্যাপক মো. সাদেকুজ্জামান, সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক মুর্শেদ রায়হান, সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান খান, সহকারী অধ্যাপক মো. নিয়ামুল হুদা, সহকারী অধ্যাপক মো. মশিউর রহমান, সহকারী অধ্যাপক সাথী রানী কুন্ডু, সহকারী অধ্যাপক শারমিন রেজোয়ানা, সহকারী অধ্যাপক মুতাসিম বিল্লাহ এবং আর্ট এন্ড হেরিটেজ সোসাইটির সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান মুরাদসহ বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দ।
মন্তব্য