সোমবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে ছাত্রলীগের দুই শীর্ষ নেতার বৈঠকে প্রাথমিকভাবে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
বৈঠকে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য উপস্থিত ছিলেন।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিজয়ের মাস ডিসেম্বরেই ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও মেয়াদোত্তীর্ণ সংগঠনগুলোরও সম্মেলন হবে। নেত্রীর উপর নির্ভর করছে তারিখ দেওয়া।
ধানমন্ডি কার্যালয়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ছাত্রলীগের সম্মেলন আগামী ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও আগামী ৩ ডিসেম্বর মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে।
ছাত্রলীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয় ২০১৮ সালের ১১ ও ১২ মে। ২৯তম ওই জাতীয় সম্মেলনের প্রায় দুই মাসের মাথায় ৩১ জুলাই কমিটি ঘোষণা করা হয়। তাতে সভাপতি হন রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক হন গোলাম রাব্বানী। দুর্নীতি ও নৈতিক স্খলনের কারণে পরের বছরের অর্থাৎ ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পদচ্যুত হন শোভন-রাব্বানী। তখন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব দেওয়া হয় যথাক্রমে সহ-সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে। পরের বছর ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি তারা পূর্ণ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান।
মন্তব্য