সড়ক ও নৌপথে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন বরিশাল। বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে আজ থেকে দুইদিন বন্ধ থাকবে সব যাত্রীবাহি যানবাহন। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে জনসাধারণ। এদিকে লঞ্চ-বাস-থ্রি হুইলার ও খেয়া নৌকা বন্ধের পরও মিছিলের পর মিছিল আসছে নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে বিএনপি’র গণসমাবেশস্থলে। কোন বাধা বিএনপি’র জনস্রোত ঠেকাতে পারবেনা বলে হুঁশিয়ারী দিয়েছেন বিএনপি নেতারা।
নিরাপদ সড়ক সহ বিভিন্ন পুরনো ইস্যু সামনে এনে ৪ ও ৫ নভেম্বর বরিশালে বাস বন্ধের ঘোষণা দেয় বাস মালিকদের দুটি সংগঠন। তাদের সাথে সুর মিলিয়ে শ্রমিক হয়রানী বন্ধ সহ বিভিন্ন দাবিতে ৪ ও ৫ নভেম্বর থ্রি হুইলার চলাচল বন্ধের গোষা দেয়া থ্রি হুইলার মালিক শ্রমিক সংগঠন। সব শেষ গত সোম ও মঙ্গলবার স্থানীয় শ্রমিক লীগ নেতারা ৪ ও ৫ নভেম্বর স্থানীয় রুটের সকল লঞ্চ এবং ৪ নভেম্বর ঢাকা থেকে বরিশালগামী লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখতে বরিশাল লঞ্চ মালিক সমিতিকে নির্দেশ দেয়। তবে তার আগেই ৩ নভেম্বর থেকে বরিশাল-ভোলা রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়।
আজ সকাল থেকে বরিশালে স্থানীয় ও দুরপাল্লা রুটের বাস, লঞ্চ, থ্রি হুইলার, খেয়া নৌকা এবং স্পীডবোট চলাচলও বন্ধ রয়েছে। এতে বরিশাল কার্যত যোগযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে সারা দেশে থেকে। বাস টার্মিনাল, নদী বন্দর এবং খেয়াঘাটে যাত্রীদের অবননীয় দুর্ভোগ দেখা গেছে। গন্তব্যে যেতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।
এদিকে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধের পরও আজ একের পর এক মিছিল আসছে নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানের গণসমাবেশস্থলে। সব বাধা উপেক্ষা করে গণসমাবেশস্থলে জনস্রোত নামবে বলে হুঁশিয়ারী দিয়েছেন বিএনপি’র বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান।
মন্তব্য