জহরুল ইসলামঃ বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি,
‘তোমাদের সাফল্যই আমাদের প্রেরণা’ স্লোগানকে সামনে রেখে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) আইন বিভাগ ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে।
বশেমুরবিপ্রবি আইন বিভাগের পক্ষ থেকে প্রতি শনিবার শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা যেমন: বিজেএস, বিসিএস, বার কাউন্সিল ইত্যাদি সাফল্য অর্জনের লক্ষ্যে বিভাগের পক্ষ থেকে নিয়মিত ক্লাসের আয়োজন করা হয়েছে।
বিভাগ সূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের একাডেমিক গবেষণার শুনগতমান বৃদ্ধি করা, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অধিক সাফল্য নিশ্চিত করা,শিক্ষা-গবেষনা ও ক্যারিয়ার বৃদ্ধি করা,প্রতিযোগিতামূলক চাকরির কোচিং সমূহ ব্যয়বহুল যা অনেক শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের পক্ষে বহন করা কষ্টকর এসব কথা চিন্তা করে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিভাগটি।
শিক্ষার্থীরা বিভাগের এমন উদ্যোগকে প্রশংসা জানিয়েছেন। এবিষয়ে আইন ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী আছিয়া খানম বলেন,’এই যুগান্তকারী এবং সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের ফলাফল শিক্ষার্থীকে আরো একধাপ এগিয়ে রাকবে এবং আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা তুলনামূলকভাবেই অন্যান্য শিক্ষার্থীদের থেকে চাকরী বাজারে ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবে। সর্বোপরি,মাত্র কিছুদিন ধরে পথ চলতে থাকা আইন বিভাগের সর্বাত্মক সহযোগিতা ও চেষ্টায় গৃহীত এ দারূণ সিদ্ধান্ত অবশ্যই শিক্ষার্থী,বিভাগ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মঙ্গল বয়ে আনবে বলে মনে করি।’
আইন ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী ইমন হোসেন বলেন, বিভাগের এমন উদ্যোগে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত এবং সংশ্লিষ্ট সকল শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞ। এই উদ্যোগ বাস্তবায়নের ফলে আমাদের আইন পরিবার এ ধরনের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশ্নের ধরণ, মানবন্টন সংক্রান্ত, প্রশ্নের পুনরাবৃত্তি সম্ভাবনা বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা সহ সময়বন্টন এবং সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের প্রস্তুতিতে এগিয়ে থাকবে ইনশাআল্লাহ।
এ বিষয়ে আইন বিভাগের ডীন ও বিভাগীয় প্রধান ড.রাজিউর রহমান বলেন,’আমি চাই আমাদের ছেলে-মেয়েরা গ্রাজুয়েট হবার পর আইন অঙ্গনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে, শিক্ষা- গবেষণায় আশানুরূপ সাফল্য অর্জন করুক। আর এই সাফল্য অর্জনের পূর্বশর্ত হলো আইনের ধারাবাহিক অনুশীলন। এই চর্চা অব্যাহত রাখার জন্যই এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। যার মাধ্যমে আইনের প্রায়োগিক বিষয়াবলী সম্পর্কে সম্যক ধারণা অর্জন করা সম্ভব হবে। ফলশ্রুতিতে আমাদের ছেলে-মেয়েরা আইন অঙ্গনে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হবে।’
তিনি আরও বলেন,শিক্ষার্থীদের একাডেমিক, গবেষণার গুণগতমান বৃদ্ধি পাবে।প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় তারা অধিকহারে সাফল্য অর্জন করবে। এর মাধ্যমে শিক্ষা ,গবেষণা, ক্যারিয়ার সংক্রান্ত জ্ঞান বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও প্রতিযোগিতামূলক চাকরির জন্য যে সকল কোচিং সেন্টার রয়েছে সেগুলোর মান ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রায়শই বিভিন্ন প্রশ্ন ওঠে। আর এগুলো অনেক ব্যয়বহুল হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের পক্ষে এই ব্যয় বহন করা সম্ভব হয় না। আমাদের এই প্রোগ্রামটি বিভাগের সকল শিক্ষার্থীর জন্য উন্মুক্ত ও ফ্রী এবং ক্লাসসমূহ যেহেতু সরাসরি অনুষ্ঠিত হবে ফলে শিক্ষার্থীর উপকৃত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
মন্তব্য