সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি,
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) ২০২২ দিবাগত রাতে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তার মাধ্যমে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্ত্রী বাদি হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন যাহারা নং -০৯।
সেই ধারাবাহিকতায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে ২০ কেজি গাঁজা সহ ০১ জনকে গ্রেফতার করে পরে তার দেওয়া তথ্য মতে অপহরণ চক্রের আরো ০১ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানাধীন মো. ছালাম সিকদারের ছেলে শরিফুল ইসলাম সোহাগ (৩০), সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন পাইনাদী এলাকার মৃত চান মিয়ার ছেলে মনির হোসেন ওরফে চান্দু মনির। অপহরণকারী চক্রটির আরো কয়েকজন পলাতক রয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মাহাজাব উদ্দিন আদেল নামক একজন প্রিন্টিং ব্যবসায়ীকে প্রিন্টিং এর কাজ দেয়ার কথা বলে ফোন কলে দেখা করতে বলেন মৌচাক এলাকায় অতঃপর মাহাজাব আদেল মৌচাক এলাকায় পৌঁছালে মাদ্রাসা রোডের নিজাম উদ্দিনের পাঁচ তলার একটি রুমে নিয়ে যায়। সেখানে মাহাজাব কোনো মেশিন পত্রের বদলে ১০-১১ জন লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগীর চোখমুখ বেঁধে তাকে মারধর শুরু করে তারা।
স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে থানায় প্রো-অ্যাকটিভ মেডিকেল ক্যাম্পে মারধরের কারণ জিজ্ঞেস করলে ভুক্তভোগীর কাছে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারী চক্র। মারধরের কষ্ট সহ্য করতে না পেরে মাহাজাব তার মোবাইল নাম্বার থেকে তার স্ত্রী ঝরনা আক্তার নদীর ফোন নাম্বারে কল দিয়ে টাকা পাঠাতে বলে। তার স্ত্রীর টাকা পাঠাতে দেরি হওয়ায় ভুক্তভোগী তার বন্ধুদের নিকট টাকার জন্য ফোন দিলে তার বন্ধু মোস্তফা ১৫ হাজার টাকা, মাসুদ ৫০ হাজার এবং রাকিব ৪০ হাজার টাকাসহ মোট ১ লাখ ৫ হাজার টাকা অপহরণকারীদের পাঠায় এবং ভুক্তভোগীর নিকট নগদ ১৭ হাজার টাকাসহ ১ লাখ ২২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় তারা। বাকি টাকা জোগাড় করতে না পেরে নিরুপায় হয়ে ভুক্তভোগীর স্ত্রী পুলিশকে বিষয়টি জানালে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় প্রথম আসামিকে আটক করলে তার দেওয়া তথ্যমতে বাকিদের নাম ঠিকানা বের করে পুলিশ।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাফিজুর রহমান মানিক জানান, ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথে আমরা তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় দুজন আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। তাদের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য