কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন চলাকালে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সময় দুই সংসদ সদস্যের অনুসারীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গোলাগুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এ নিয়ে নগরজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
শনিবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে সম্মেলন চলাকালীন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন এবং সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য আঞ্জুম সুলতানার অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ বাধে। এ সময় মঞ্চে ওবায়দুল কাদের উদ্বোধনী বক্তব্য দিচ্ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১২টার দিকে আঞ্জুম সুলতানা অনুসারীদের নিয়ে সম্মেলনে ঢুকতে গেলে তাকে বাধা দেওয়া হয়। এরপর সংঘর্ষ বাঁধে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সমাবেশে আঞ্জুম সুলতানার অনুসারী নুর উর রহমান মাহমুদ তানিম দাওয়াত পাননি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাকে সম্মেলনে প্রবেশ করতে না দেওয়ায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের বিষয়টি জানাই। পরে কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে আমি নেতা-কর্মী নিয়ে ফেরার পথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিনের নেতা-কর্মীরা আমাদের ধাওয়া দেয়। পরে রানীরবাজার এলাকার দিকে চলে যাই আমরা।’
জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বলেন, ‘দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে। পুলিশ গুলি চালায়নি।’
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ বেলা সোয়া ১১টায় আ ক ম বাহাউদ্দিনের সভাপতিত্বে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন শুরু হয়। ওবায়দুল কাদের সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ আল মাহমুদ, কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মো. আবদুস সবুর, কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুর সবুর এবং তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ।
মঈন নাসের খাঁন (রাফি)
কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি
মন্তব্য