জবি প্রতিনিধি ,
বাহাদুর শাহ পার্কে বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মানের মাধ্যমে সিপাহী বিদ্রোহের বীর সৈনিকদের ইতিহাসকে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ জনমতকে উপেক্ষা করে খামখেয়ালী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে অনড় রয়েছে।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট ঢাকা মহানগর শাখার উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এ অভিযোগ করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ১৮৫৭ সালে ভারতবর্ষের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধের দেশপ্রেমিক বীর সিপাহীদের ধরে এনে তৎকালীন আন্টাঘর ময়দান নামে পরিচিত এই পার্কে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। এই ঘটনার ধারাবহিকতায় ১৮৫৮ সালে রানী ভিক্টোরিয়া ভারতবর্ষের শাসনভার গ্রহণ করেন। রানীর শাসনভার গ্রহণ করার ঘোষণা এই ময়দানেই (পার্ক) পাঠ করা হয় এবং এই ময়দানের নামকরণ করা হয় ভিক্টোরিয়া পার্ক।
‘পরে ১৯৫৭ সালে ভারতবর্ষের প্রথম স্বাধীনতার যুদ্ধের ১০০ বছর পূর্তিতে যেসব বীরদের নৃশংসভাবে যন্ত্রণা দিয়ে দিয়ে হত্যা করা হয়েছিল, সেই বীরদের স্মরণে তৈরি করা হয় স্মৃতি স্তম্ভ এবং এই পার্কের নামকরণ করা হয় বাহাদুর শাহ পার্ক। সেই ইতিহাসকে সংরক্ষণ না করে এবং নতুন প্রজন্মের মাঝে এই ইতিহাস না ছড়িয়ে ঐতিহাসিক সাহসী বীরদের ইতিহাস মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ।
মানববন্ধনে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট ঢাকা মহানগর কমিটির সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে ও সহ-সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ দত্তের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি শ্যামল কুমার ভৌমিক, ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান খান প্রমুখ।
মানববন্ধন শেষে নেতৃবৃন্দ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। এতে নেতৃবৃন্দ ঐতিহাসিক বাহাদুর শাহ পার্কের মর্যাদাহানিকর ও জনস্বার্থ বিরোধী প্রকল্প বন্ধে ঢাদসিক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
সাকেরুল ইসলাম
মন্তব্য