গ্রুপ পর্বে ধুঁকতে ধুঁকতে সেমিফাইনালের টিকিট কাটে পাকিস্তান। অন্যদিকে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে সবার প্রথমে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে নিউজিল্যান্ড।
তবে প্রথম সেমিফাইনালে কিউইদের যেন পাত্তায় দিল না পাকিস্তান। নিউজিল্যান্ডের ছুঁড়ে দেওয়া ১৫৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ফিফটিতে ৫ বল আর ৭ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান।
বুধবার (৯ নভেম্বর) সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান। আগে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫২ রান তুলে নিউজিল্যান্ড। জবাব দিতে নেমে ৫ বল আগেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তান।
১৫৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রথম ওভারেই ফিরতে পারতেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। কিন্তু উইকেটের পেছনে তার ক্যাচ ফেলে দেন ডেভন কনওয়ে। পুরো ম্যাচজুড়েই কিউইরা ফিল্ডিং ভালো করতে পারেনি।
জীবন পাওয়ার পর ১০৫ রানের উদ্বোধনী জুটি পায় পাকিস্তান। ১৩তম ওভারে বাবর আজম ফিরলে ভাঙে এই জুটি। ৭ চারে ৪২ বলে ৫৩ রান করে ট্রেন্ট বোল্টের বলে আউট হন বারব। আরেক উদ্বোধনী ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ানও হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। ৪৩ বলে ৫৭ রান করে তিনিও শিকার হন বোল্টের বলে।
কিন্তু এই দুজনের বিদায়েও জিততে তেমন সমস্যা হয়নি পাকিস্তানের। ২৬ বলে ৩০ রান করেন মোহাম্মদ হারিস। সুপার টুয়েলভ পর্বে জিম্বাবুয়ের কাছে হেরে সেমির সমীকরণ কঠিন করে ফেলা পাকিস্তানই পৌঁছে গেল ফাইনালে।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই শাহিন শাহ আফ্রিদিকে চার মেরে দারুণ কিছুর আভাস দেন ফিন অ্যালেন। কিন্তু পরের বলেই তাকে এলবিডব্লিউ দেন আম্পায়ার মারাস ইরাসমাস। রিভিউতে দেখা যায় ব্যাটে লেগেছে বল। পরের বলেই আবারও আউট হন অ্যালেন। এবার বাঁচতে পারেননি রিভিউ নিয়েও।
এরপর ডেভন কনওয়ের সঙ্গে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন উইলিয়ামসন। কিন্তু পাওয়ার প্লের একদম শেষ বলে এসে বড় ধাক্কা খায় নিউজিল্যান্ড। এবার ডিরেক্ট হিটে কনওয়েকে রান আউট করেন শাদাব খান। ২০ বলে ২১ রান করে থামেন কনওয়ে।
গ্লেন ফিলিপসও নিজের ইনিংসকে লম্বা করতে পারেননি ততটা। মোহাম্মদ নওয়াজের করা অষ্টম ওভারের শেষ বলে তার হাতেই ক্যাচ দেন তিনি। ৮ বলে করেন কেবল ৬ রান।
তিন ব্যাটারকে হারানোর পর কিউইদের পথ খুঁজে দেওয়ার চেষ্টা করেন উইলিয়ামসন ও মিচেল। দুজন মিলে গড়েন ৬৮ রানের জুটি। ইনিংসের ১৭তম ওভারে শাহিন শাহকে স্কুপ করতে গিয়ে নিজের উইকেট দেন উইলিয়ামসন। ৪২ বল খেলে ১ চার ও সমান ছক্কায় ৪২ বলে ৪৬ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি।
মিচেল অবশ্য ইনিসের শেষ অবধি অপরাজিত থাকেন। ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৩৫ বলে ৫৩ রান করেন তিনি। ১২ বলে ১৬ রান আসে জিমি নিশামের ব্যাটে। পাকিস্তানের পক্ষে ৪ ওভারে মাত্র ২৪ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন শাহিন শাহ।
টিএইচ
মন্তব্য