আব্দুল কাইয়ুম,সাভার(ঢাকা):
ঢাকার ধামরাইয়ে দীর্ঘ ২২ বছর পর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষনার পর থেকেই কমিটির সভাপতি, সাধারন সম্পাদক ও ১ নং সাংগঠনিক সম্পাদকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে আন্দোলন করে যাচ্ছেন পদবঞ্চিন একাংশের নেতাকর্মীরা। এঘটনায় রবিবার দুপুরে উদ্দেশ্যমূলকভাবে সংগঠনের ভাবমুর্তি বিনষ্ট ও মিথ্যা অপপ্রচারের জবাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নবগঠিত উপজেলা ছাত্রলীগের ১ নং সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আশ শাবীব।
সংবাদ সম্মেলনে এসময় তিনি সাংবাদিকদেরকে জানান, আমি ২০১২ সাল থেকেই উপজেলা ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে মাঠে রয়েছি। উপজেলা কমিটিতে পদ পাওয়ার আগে আমি ধামরাই সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেছি। এছাড়া আমার বাবাও সারা জীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পক্ষে থেকে জামায়াত-বিএনপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে লেখালেখি করে গেছেন।
কিন্তু সাবেক এমপি’র অনুসারি স্বঘোষিত ভিপি এবং ধামরাই সরকারী কলেজের সভাপতি দাবিকারী হাবিবুর রহমান হাবিব আমার মৃত বাবার নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে যে, তিনি জামায়াত নেতা হিসেবে কারাগারে বন্দি রয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে হাবিবের বাবা লাবু খান নিজেই একজন রাজাকার ছিলেন এবং তার বড় চাচাও রাজাকার থাকাকালীন মুক্তিযোদ্ধাদের গুলিতে মারা গেছেন।
আব্দুল্লাহ আশ শাবীব এসময় আরও বলেন, হাবিবুর রহমান হাবিব আমার কমিটির সভাপতি জামিল হোসেনের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছেন সেটাও মিথ্যা এবং ভিত্তিহিন। বরং হাবিব নিজেই বিবাহিত এবং অছাত্র। সে কোন দিনই ছাত্রলীগের পদে ছিলোনা। এছাড়া হাবিব ও রবিউল আউয়াল রুবেল আমার প্রবাসী দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করেছে সেগুলোও সম্পুর্ন ভিত্তিহীন। তারা কোনদিনই জঙ্গী সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলোনা এবং গ্রেপ্তারও হয়নি। বরং আমার এক ভাই ধামরাই সদর ইউনিয়ন যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং গত ১০ বছর ধরে একই কমিটির সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (৪ নভেম্বর) সংগঠনের ঢাকা জেলা উত্তরের সভাপতি সাইদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনিরের স্বাক্ষরিত প্যাডে উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে ধামরাই উপজেলা কমিটির সভাপতি করা হয়েছে জামিল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন মোঃ মাহবুবুর রহমান।
মন্তব্য