শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
 

নিজের বাল্যবিয়ে ঠেকালো স্কুলছাত্রী

JK0007
প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০২২

 ---

ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি

ফরিদপুরের সালথায় থানায় ফোন করে নিজের বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে এক স্কুলছাত্রী। পরে ওই স্কুলছাত্রীর লেখাপড়ার দায়িত্ব নিয়েছেন সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ সাদিক। রোববার (২০ নভেম্বর) উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের দরগা গট্টি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, স্থানীয় জয়ঝাপ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে কয়েকদিন আগে পাত্রপক্ষ দেখতে আসে। পরে তারা আছিয়া আক্তারকে নাকফুল পরিয়ে যান। সোমবার সকালে কোর্টের মাধ্যমে তাদের বিয়ের তারিখ ধার্য করা হয়। কিন্তু আছিয়া আক্তার পড়ালেখা চালিয়ে যেতে ও বাল্য বিয়েতে রাজি না হওয়ায় পুলিশের শরণাপন্ন হন।
এ ব্যাপারে ওই স্কুলছাত্রী বলেন, আমি পড়াশোনা করতে চাই। কিন্তু আমার পরিবার আমার কথা না শুনে জোর করে বিয়ে ঠিক করে। বাধ্য হয়ে সালথা থানার ওসির মোবাইল নম্বর জোগাড় করে বিষয়টি জানাই। পরে তিনি আমার বিয়ে বন্ধের ব্যবস্থা করেন।

ওই স্কুলছাত্রীর বাবা আতিক মাতুব্বর বলেন, আমার মেয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ে। কয়েকদিন আগে তাকে পাত্রপক্ষ দেখতে এসে পছন্দ করে তারা নাকফুল পড়িয়ে যান। আমার মেয়ে থানায় জানারে ওসি আমাদের থানায় ডেকে নিয়ে বিয়ে বন্ধ করতে বলেন।
এ বিষয়ে জয়ঝাপ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মিরাজ আলী জানান, দুপুরে সালথা থানার ওসি নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে নিয়ে স্কুলে আসেন। তিনি আমাদের জানান ছাত্রীকে বাল্যবিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। পরে তার অভিযোগের ভিত্তিতে বিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। ওসি সাহেব ওই ছাত্রীর পড়ার সমস্ত খরচ বহন করবেন বলে আমাদের জানান।

এবিষয়ে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ সাদিক বলেন, ওই স্কুলছাত্রী মোবাইল নম্বরে ফোন করে বিয়ে বন্ধের অনুরোধ জানায়। পরে তার পরিবারকে থানায় এনে বাল্যবিয়ে দিতে নিষেধ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এখন থেকে আছিয়ার সমস্ত পড়ালেখার ব্যয়ভার ও দায়িত্ব আমি গ্রহণ করবো। আমি এখান থেকে বদলি হয়ে চলে যাওয়ার সময় তখন যে অফিসার আসবেন তাকে বিষয়টি জানিয়ে যাবো।

মন্তব্য

সর্বশেষপঠিত

এলাকার খবর

Developed By: Dotsilicon