মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন ফটিকছড়ি প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার হারুয়ালছড়ির পাটিয়ালছড়িতে আশেকানে হক ভান্ডারী শোকর এ মওলা মনজিলের উদ্যোগে পবিত্র ঈদ এ মিলাদুন্নবী (দঃ) ও ফাতেহায়ে ইয়াজদাহুম উদযাপন উপলক্ষে মাইজভান্ডারী দর্শন শীর্ষক আলোচনা, মিলাদ ও মাসিক সভা অত্র সংগঠনের কার্যালয় শোকর এ মওলা মনজিলে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মহতি আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ও আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট মাইজভান্ডারি গবেষক ও লেখক, রিসালাতুন নাজাত গ্রন্থের রচয়িতা, মাইজভান্ডারী গাউছিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পর্ষদ এর সম্মানিত সিনিয়র সদস্য জনাব মোঃ শাহেদ আলী চৌধুরী মাইজভান্ডারী। সভার সভাপতিত্ব করেন আশেকানে হক ভান্ডারী শোকর এ মওলা মনজিলের সভাপতি সৈয়দ শফিউল আজিম সুমন। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন - সমগ্র আরব জাহান যখন পৌত্তলিকতা ও অনাচারের অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল, সেই আইয়ামে জাহেলিয়ার যুগে আল্লাহ সত্য, ন্যায়, কল্যাণ ও একত্ববাদ প্রতিষ্ঠায় তাঁর প্রিয় হাবিবকে অপার রহমত হিসেবে পৃথিবীতে পাঠিয়েছিলেন। এ কারণে রাসূল (সাঃ) - কে সম্মান জানিয়ে রহমাতুল্লিল আলামীন হিসেবে সম্বোধন করেছেন মহান আল্লাহ। বিনয়, সহিষ্ণুতা, দয়া, সহমর্মিতাসহ সব মানবিক সদগুণের সর্বোচ্চ বিকাশ ঘটেছিল তাঁর মধ্যে। শ্রেষ্ঠ মানবিক গুনাবলীর অধিকারী হিসেবে তিনি ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায় নির্বিশেষে সর্বকালে সর্বজনস্বীকৃত।
রাসূলে পাক (সঃ) এর মানবিক এই গুনাবলীর সর্বোত্তম প্রকাশ-বিকাশ হচ্ছে মাইজভান্ডার দরবার শরীফ। হুজুর গাউসুল আজম মাইজভান্ডারী (কঃ) বাংলার জমিনে মাইজভান্ডারী ত্বরিকা প্রবর্তন করে রাসূল (দঃ) এর আদর্শ ও সিফত অনুসারে সর্বজাতি, সব শ্রেণীর মানুষের কল্যাণে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন। সে ধারাবাহিকতায় বর্তমানে মওলা হুজুর মাইজভান্ডারী (মঃজিঃআঃ) যুগোপযোগী মানবকল্যাণমূলক কাজ করে যাচ্ছেন ও আমাদের সবাইকে সেভাবে উৎসাহ দিচ্ছেন। উক্ত সভায় আশেকানে হক ভান্ডারী, শোকর এ মওলা মনজিল ও জ্যোতি ফোরামের কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য