ইমরান হোসেন তালহা, নারায়নগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ একটি রাষ্ট্রের নাগরিকদের পাঁচটি মৌলিক চাহিদার মধ্যে চিকিৎসা হলো অন্যতম। একটু সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্যই মানুষের চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। এ জন্য মানুষ ডাক্তার ও হাসপাতালের স্মরণাপন্ন হয়। কিন্তু দেশের অধিকাংশ সরকারি -হাসপাতালগুলো আজ সাধারণ মানুষের জন্য কসাইখানা ও মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
আর ডাক্তারদের মধ্যে বড় একটি অংশ আজ মানবসেবা ও মানবিকতা ভুলে গিয়ে কসাই ও ডাকাতের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। নারায়ণগঞ্জ জেনারেল ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের বিরুদ্ধে দুর্নীতি অনিয়ম ও অভিযোগ এ যেন নতুন কিছু না। সাধারণ গার্মেন্টস কর্মচারী মোঃ বেলাল মিয়ার , সে জানায় আমি ভিক্টোরিয়া হসপিটালে আমার চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলাম। সে সময়ে আমি ভিক্টোরিয়া হসপিটালের ১০৫ নাম্বার রুমের ডাক্তার সাহেবের কাছে গিয়েছিলাম আমার চিকিৎসার জন্য তখন তিনি আমাকে দেখে একটা প্রাইভেট ডায়গোনেস্টিক সেন্টারের স্লিপ হাতে ধরিয়ে তার রুমে থাকা তার ৪ সহকারীর একজনের সাথে কথা বলতে বলে । কিন্তু আমি যখন অন্য ক্লিনিকে আমার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়া আসলাম তার কথামতো ঐ ক্লিনিকে না যাওয়াতে আমার পরীক্ষা নাকি ভুল হয়েছে। পরবর্তীতে তা আমি যখন আবার ওনার কথা অনুযায়ী ওইখান থেকে পরীক্ষা করে আসি তখন আমার পরীক্ষা নাকি সঠিক হয়েছে ।
আমার আগের রিপোর্ট আর এখানকার রিপোর্ট তো একই ছিল আমার পরীক্ষা রিপোর্ট কেন আগের গুলো ভুল হল পরবর্তীতে আমি জানতে পারি যে পরীক্ষাগুলো বাইরে করিয়েছি সেগুলা নাকি ভিক্টোরিয়া হসপিটালে হয়।রুমে থাকা যে ব্যক্তিগুলো ছিল তারা আমাকে এইখানে আসতে দেয়নি তারা স্লিপ হাতে দিয়ে আমাকে ক্লিনিকের ঠিকানা দিয়ে ওখানে পাঠিয়ে দিল। সরকারি হসপিটালে আসি কম টাকায় ভালো চিকিৎসা পাওয়ার জন্য কিন্তু সরকারি হসপিটালগুলোতে যদি এরকম হতে থাকে তাহলে আমরা কিভাবে ভাল থাকব। এ বিষয়ে তদন্ত করতে গেলে দেখা যায় প্রতিটা ডাক্তারের রুমে ৩থেকে ৪ জন করে ব্যক্তিগত সহকারি রাখা আছে । যদিও সরকারি নিয়ম অনুযায়ী হসপিটাল এর তরফ থেকে একজন করে সহকারী প্রতিটা রুমে থাকতে পারে ডাক্তারের সাথে প্রশ্ন বাকি তিনজন কি। খোঁজ নিয়ে দেখা যায় একজন হল বিভিন্ন প্রাইভেট ডায়গোনেস্টিক সেন্টারের দালাল চক্রের একজন।
অপরজন বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির সেলসম্যান সে দেখে ওই ডাক্তার তার কোম্পানির ওষুধ দিল কিনা বা অন্য কোন কোম্পানির ওষুধ দিল কিনা। বাকিরা ও বিভিন্ন রোগীকে দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকে। ডাক্তারের রুমের ভিতর এবং বাহিরে থাকা লোকদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা সাংবাদিকদের বলে পরিচয় দিতে আমরা বাধ্য না কোন কিছু জানার থাকলে ডাক্তার সাহেবের সাথে কথা বলুন । ডাক্তার সাহেবের সাথে কথা বলতে চাইলে ডাক্তার সাহেব বলে কোন কিছু জানতে হলে বা কোন কিছু তথ্য নিতে হলে আগে নাকি ডাক্তারের পারমিশন নিতে বাধ্য সাংবাদিকরা, বিস্তারিত বিষয়ে জানতে চাইলে ওই ডাক্তার আর কোন কিছু বলেনি। এবং তারা দাবী করে তারা বিভিন্ন প্রভাবশালী নেতাদের আত্মীয়-স্বজন তাদের ব্যক্তিগত পরিচয় জানতে বলে । এই বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জন এর সাথে মুঠোফোনে কথা বলতে চাইলে সে কোন বিষয়ে কথা বলতে প্রস্তুত না পরবর্তীতে সাক্ষাৎকার দিবে বলে ফোন রেখে দেয়। পরবর্তীতে ফোন দিলে আর ফোন রিসিভ করে না ।
সরকারি জেনারেল ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের (RMO) এর সাথে কথা বললে সে বলে বিষয়টি তাদের জানা নেই তারা বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে দেখবে যদিও দেখা যায় তাকে এর বিষয়ে আরো দুই তিন মাস আগে জানানো হয়েছিল কিন্তু পরবর্তীতে কোন উন্নতি হয়নি। বাকি বিস্তারিত পরবর্তী পর্বতে আসবে আমাদের অনলাইনে ভিডিও আকারে আসবে সমস্ত তথ্যপ্রমাণ সহ।
মন্তব্য