যুগের কন্ঠস্বর: নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
বার বার উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েও দখলমুক্ত করা যাচ্ছে না নারায়ণগঞ্জের বিসিক শিল্প নগরী এলাকা। বিসিক ভাঙ্গা ক্লাব থেকে শুরু করে শাসনগাঁও শাহী মসজিদ পর্যন্ত এলাকা জুড়ে ফুটপাত দখল করে শতাধিক দোকান বসেছে।
দীর্ঘদিন ধরে বিসিক ভাঙ্গা ক্লাব থেকে শুরু করে শাসনগাঁও শাহী মসজিদ পর্যন্ত ফুটপাত দখলে থাকায় পথচারীদের হাঁটার মতো কোনো পরিস্থিতি নেই। বাধ্য হয়ে তারা চলাচলের জন্য ব্যবহার করছেন মূলসড়ক। ফলে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে, সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। সেই সঙ্গে প্রতিনিয়ত পথচারীরা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।
বিসিক শিল্প নগরী এক পথচারী ভিসিক এক গার্মেন্টসের প্রোডাকশন ম্যানেজার মোঃ আতাউর মিয়া খুব প্রকাশ করে বলেন, ফুটপাতগুলো জমি দখলের মতো দখল হয়ে গেছে। এখনি কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়া হলে এগুলো আর দখলমুক্ত করা যাবে না।
ভিসিক আরেক গার্মেন্টস এইচ আর ডিপার্টমেন্টের আছিয়া খাতুন আসমা নামের আরেক পথচারী বলেন, বিসিকের ফুটপাত দখল থাকায় রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়; যা পথচারীদের জন্য খুবই বিপজ্জনক। বেশিরভাগ সময় রাস্তায় প্রচণ্ড যানবাহনের চাপ থাকে। তাই রাস্তা দিয়েও চলাচল করা যায় না। এর জন্য জনপ্রতিনিধি ও থানার ওসি মহোদয়ের কাছে আবেদন আপনাদের বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
আরেক নারী পথচারী বলেন, ফুটপাত দিয়ে হাঁটার সময় অনেক মানুষের ধাক্কা খেতে হয়। বিশেষ করে নারী পথচারীদের বিড়ম্বনার শিকার হতে হয় সব থেকে বেশি।
বিসিক সড়কের দুই পাশে রয়েছে বিভিন্ন কলকারখানা গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি । রয়েছে বেশকিছু খাবার হোটেল ও মার্কেট। এসব কারণে ফুটপাত ও রাস্তাঘাট প্রতিদিনই মানুষে ভরপুর থাকে।
বিসিক ভাঙ্গা ক্লাব থেকে শুরু করে শাসনগাঁও শাহী মসজিদের মোড়ের এসব ফুটপাত দীর্ঘদিন ধরেই দখল হয়ে আছে। তবে স্থানীয়রা বলছেন, ফুটপাতে হকাররা ব্যবসা করলেও এর নেপথ্যে শক্তিশালী সিন্ডিকেট রয়েছে। হকারদের জিম্মি করে এসব সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রতিদিনই আদায় করা হচ্ছে মোটা অঙ্কের চাঁদা।
ব্যবসায়ী ও হকারদের দেয়া তথ্যে অনুযায়ী, বিসিক ভাঙ্গা ক্লাব থেকে শুরু করে শাসনগাঁও শাহী মসজিদের মোড় পযন্ত এলাকার ফুটপাতের দোকানগুলো থেকে প্রতিদিন ১০০থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় হয়। শতাধিক দোকান থেকে গড়ে প্রতিদিন এক ১০থেকে ১৫হাজার টাকা তোলা হয়।
ফুটপাত দখল করে থাকা বিভিন্ন দোকানির সঙ্গে কথা বলে ভিন্ন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চায়ের দোকানি বলেন, ‘টাকা দিয়ে দোকান বসাইছি, আবার প্রতিদিন চাঁদাও দিতে হয়। এহানে বহার লাইগা প্রতিদিন টেকা দেওনলাগে। মধ্যবয়সী বছর বয়সী একজন মোবাইলের এক্সেসরি বিক্রেতা বলেন, আমার মতো মানুষের থেকে ২০০ টাকা লইয়া যায়।
তথ্য সংগ্রহ চলছে কোন সিন্ডিকেট এবং কারা এটার সাথে জড়িত বিস্তারিত আসছে।
মন্তব্য