মোঃ মিনহাজ আলম
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁও কেন্দ্রীয় শ্রী শ্রী শ্মশান কালী মাতা মন্দিরে শিবরাত্রি পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
প্রতিবারের ন্যায় এবারও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে শনিবার ১৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়ে রবিবার রাত পর্যন্ত পালিত হচ্ছে মহা শিবরাত্রি ব্রত।
এই দিনটিতে বিভিন্ন মন্দিরে শিব পূজা পালন করা হয়। আর এই শিব পূজা ঠাকুরগাঁও শহরের কেন্দ্রীয় শ্রী শ্রী শ্মশান কালী মন্দির, গোবিন্দজিউ মন্দির, কালীবাড়ী ও সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের ভাদগাঁও শিকদার হাট ,ইয়াকুব পুর স্কুল হাট, ঢোলার হাট
সহ জেলার বিভিন্ন মন্দিরে ওই শিব পূজার আয়োজন করা হয়েছে।
শহরের বেশিভাগ হিন্দু নারীরা আসেন মন্দিরে শিবের মাথা দুধ, ডাবের জল ঢালে এবং শিব পূজা দেয় ভক্তরা। শিব পূজা সর্ম্পকে মন্দিরের পুরোহিত বলেন, এই পূজা যে নারী করে সেই নারী ভালো ও সুশিল স্বামী পায়। তাছাড়াও দেবাদিদেব মহাদেব তার সকল কষ্ট দূর করে।
এবার শিবরাত্রি পূজা উপলক্ষে ঠাকুরগাঁও কেন্দ্রীয় শ্রী শ্রী শ্মশান কালী মাতা মন্দির এর পুরোহিত শিব প্রসাদ গোস্বামী শিবু তার নিজ উদ্যোগে শ্মশান মন্দিরে আস বিভিন্ন নারী ভক্তদের মাঝে মন্দির প্রাঙ্গণে ১০৮ টি শিবলিঙ্গ বিতরণ করেছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শ্রী শ্রী শ্মশান কালী মাতা মন্দিরের প্রচার সম্পাদক জয় মহন্ত অলকসহ অন্যান্যরা।
এ শিবলিঙ্গ পেয়ে অনেক আনন্দিত হয়েছেন মন্দিরে আসা বিভিন্ন নারী ভক্তরা।
পুরোহিত শিবু তিনি বলেন হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে প্রাচীনতম ধর্মীয় উৎসব শিবরাত্রি পূজা।
ভগবান শিবকে দেবাদিদেব বলা হয়, কারন সকল দেবতার দেবতা মহাদেব। ভগবান শিবের বহু রূপ ও বহু নাম আছে। যেমন শিব শংকর, মহাদেব, ভোলানাথ সহ ইত্যাদি।
এদিকে শিব পূজায় অংশ নেওয়া বিবাহিত নারী লতা আগারওয়াল, ও অনুরাধা রায় বলে শিব পূজা করার আগমুহূর্ত পর্যন্ত উপবাস থাকতে হয়। আর এই উপবাস পূজার পর ভাঙ্গা হয় এবং নিরামিস খেতে হয়। অর্থাৎ কোনো আমিষ খাওয়া যাবে না। আর ভগবান শিবের কৃপা সর্বদা তার উপর থাকবে। শুধু তাই নয়, শিব পূজা করলে ভালো একজন স্বামীও পাবে।
দীপ রায় নামে একটি ভক্ত শিব পূজায় অংশগ্রহণ করে। সে বলে আমি আমার পরিবারের সাথে শিবের মাথায় জল ঢালতে আসছি। আর শিব ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা করছি আমি যেন পড়া-লেখায় খুব ভালো করতে পারি।
উল্লেখ্য এই পূজা উপলক্ষে ঠাকুরগাঁওয়ে জেলায় বিভিন্ন মন্দিরে পূজা অর্চনা, ধর্মিয় কিত্তন সহ নানা আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠান শেষে প্রসাদ বিতরণের মধ্যে দিয়ে সমাপ্ত হবে।
মন্তব্য