শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪
 

বাহাদুর শাহ পার্কে রেস্তোরা চাই না ছাত্রনেতারা

ক্যাম্পাস
প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

---

নাম রাকিবুল হাসান রাকিব, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়:

ঐতিহাসিক বাহাদুর শাহ পার্কে রেস্তোরা চালুর প্রতিবাদে ছাত্র প্রতিনিধিদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪টায় বাহাদুর শাহ্ পার্ক চত্বরে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে ঐতিহাসিক বাহাদুর শাহ্ পার্ক ও পার্কের ঐতিহ্য সংরক্ষণ সংগ্রাম পরিষদ।

কাজী রায়হান জামিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি সাদেকুল ইসলাম সোহেল, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সহ সভাপতি জহর লাল রায়, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সংগঠক ইভান তাহসীব, জাতীয় ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক তৌফিক হাসান পাপ্পু, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের ছায়েদুল হক নিশান প্রমূখ।

এই সময় তারা চার দফা দাবি জানান। দাবিগুলো হলো-বাহাদুর শাহ পার্কের অভ্যন্তরে কোনরূপ বাণিজ্যিক স্থাপনা মানি না, মানবো না; বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণের চলমান কাজ অবিলম্বে বন্ধ কর, করতে হবে; সংস্কারের নামে স্মৃতিস্তম্ভে কোন ধরনের পরিবর্তন মানি না, মানবো না; ইতোমধ্যে স্মৃতি থেকে মুছে ফেলা “১৮৫৭ সালের শহীদদের স্মরণে” লেখাটি পুনঃস্থাপন করতে হবে।

নেতৃবৃন্দরা বলেন, আমরা সকলে এই সংগ্রামের প্রতি সংহতি জানায়। ১৮৫৭ সালের ঐতিহাসিক স্মৃতি ও শোষণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের স্মারক এই পার্কে রেস্টুরেন্ট স্থাপন করে এলাকাবাসী , শিক্ষার্থী ও শহীদ স্মৃতির উপর পদাঘাত করেছে সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিরা। এসব অন্যায় ও নীতিবিরোধী কর্মকান্ড করে ভূমিদস্যু ও দখলদাররা ঢাকাকে বসবাসের অযোগ্য করে তুলেছে। মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়ে সরকার ঢাকা শহরের পার্ক ও খোলামাঠ দখল ও বাটোয়ারার মহোৎসবে নেমেছে। পার্কের অভ্যন্তরে রেস্টুরেন্ট করে পার্কের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে ফেলেছে। এই এলাকা ও সকল শিক্ষার্থীদের বিনোদন , শরীরচর্চা ও অবকাশ যাপনের কেন্দ্রবিন্দু এই পার্ক দখল করে অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক কাজ করেছে। স্বৈরাচারী কায়দায় জনগণের সকল অধিকারসহ বিনোদনের জায়গা এই পার্কটিও দখল করে পার পাবে না। সাধারণ জনগণ ও শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম এই দখল ও ইজারা রুখে দিবে।

মন্তব্য

সর্বশেষপঠিত

এলাকার খবর

Developed By: Dotsilicon