স্টাফ রিপোর্টার,পাথরঘাটা, বরগুনাঃ জলদস্যুর কবল থেকে প্রাণ বাচাতে গভীর সমুদ্রে ঝাপ দেয়া
নিখোঁজ ৫ জেলের মধ্যে ২ জেলের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (১ মার্চ) বিকেলে বলেশ্বর নদী থেকে গভীর বঙ্গোপসাগরে ভাসমান অবস্থায় মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। মৃতদেহ দুটির ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা সদর হাসপাতালের মর্গে নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি মধ্য রাতে বঙ্গোপসাগরে জলদস্যুদের হামলার শিকার হয় ভাই ভাই নামে বরগুনার একটি মাছ ধরার ট্রলারের ১৮জন জেলে। এ সময় জলদস্যুদের হামলা থেকে বাঁচতে সমুদ্রে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হন ৯ জেলে। ঘটনার ৩ দিন পর ২০ ফেব্রুয়ারি সমুদ্রে ভাসমান অবস্থায় ৪ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করেন জেলেরা। উদ্ধারকৃত জেলেদের মধ্যথেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এদের একজন মারা যান। এরপর নিখোঁজ ৫ জেলের মধ্যে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হল আজ ১ মার্চ বুধবার ।
নিহত জেলেরা হলেন, কাইয়ুম মাঝি ও আবুল কালাম। এদের মধ্যে কাইয়ুম মাঝির বাড়ি তালতলী উপজেলার চামু পাড়া এলাকায় আর আবুল কালামের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার রায়ভোগ চৌমুহনী এলাকায়। এ ঘটনায় এখনও নিখোঁজ জেলেরা হলেন, ফরিদ, খাইরুল এবং আব্দুল আলীম।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলার ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ‘সমুদ্রে মাছ শিকাররত জেলেদের তথ্যের ভিত্তিতে নিখোঁজদের স্বজনরা সমুদ্রে খোঁজাখুঁজি করে নিখোঁজ দুই জেলের মরদেহ উদ্ধার করেছেন।’
এ বিষয়ে ভাই ভাই ট্রলারের মালিক মোহাম্মদ মিরাজ বলেন, ‘এ ঘটনায় গত ১৯ ফেব্রুয়ারি পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালি থানায় অজ্ঞাত পরিচয়ের ২৫ থেকে ৩০ জনকে আসামি করে আমি একটি মামলা দায়ের করেছি।’
বিষযটি প্রসঙ্গে কোস্টগার্ডের পাথরঘাটা স্টেশনের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট শাফায়েত আবরার বলেন, ‘সমুদ্র থেকে নিখোঁজ ২ জেলের মৃতদেহ উদ্ধারের সংবাদ আমরা পেয়েছি। এ ঘটনায় আইনগতভাবে মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের জন্য আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি ।’
মন্তব্য