মো: মিনহাজ আলম, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন বিশাল আকারের হলুদ গালিচা বিছিয়ে রাখা হয়েছে। কাছে গেলে চোখে পড়ে হাজারো সূর্যমুখী ফুল। বাতাসে দোল খেয়ে ফুলগুলো যেন আমন্ত্রণ জানাচ্ছে সৌন্দর্য উপভোগ করার। দিনভর এই সূর্যমুখী বাগানে ভিড় করছেন কয়েক শ মানুষ। দুপুরের পর থেকেই সূর্যমুখী বাগান নানান বয়সী মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়। সূর্যমুখী ফুলের এ বাগানটি এখন সৌন্দর্যপ্রেমীদের কাছে দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে। কেউ বন্ধুদের সঙ্গে আসছেন, কেউ বা আসছেন পরিবার পরিজন নিয়ে।
ঠাকুরগাঁও সদরের আখানগর বাজারের পাশেই শখের বশে পরীক্ষামূলকভাবে ত্রিশ শতক জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেন মাসুদ রানা নামে এক যুবক। সূর্যমুখী বাগানে সারি সারি লাগানো ফুলগাছ। হলুদ ফুল আর সবুজ গাছের অপরূপ দৃশ্য দেখলেই দুই চোখ জুড়িয়ে যায়। সরেজমিন দেখা গেছে, সবুজ গাছে ফুটে আছে শত শত সূর্যমুখী ফুল। প্রতিনিয়ত মিষ্টি হলুদ রঙের সূর্যমুখী দেখতে ভিড় করছেন হাজারো দর্শনার্থী।
বর্তমানে দেশের অন্যান্য জেলার পাশাপাশি ঠাকুরগাঁওয়েও সূর্যমুখীর চাষ শুরু হয়েছে। এতে করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। নতুন নতুন এমন কৃষি ফসল উৎপাদন হওয়ায় বাড়ছে কর্মসংস্থান।
চাষি মাসুদ রানা জানান, সূর্যমুখী বাগান করতে আমি নিজেই উদ্বুদ্ধ। এটা আমার নিজের পরিকল্পনা ছিল যে নিজের পরিবারের জন্য খাবারের তেল হিসেবে সূর্যমুখী ব্যবহার করব। সেই জন্য পাবনা থেকে এক কেজি সূর্যমুখীর বীজ নিয়ে আসি। তবে কৃষি অফিস থেকে কোন প্রকারের সহযোগিতা পায়নি। সহযোগিতা পেলে আরও বড় পরিসরে করার ইচ্ছে আমার।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ঠাকুরগাঁওয়ে এ বছর ৫ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী আবাদের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও আবাদ হয়েছে কম। এ পর্যন্ত প্রায় ১ দশমিক ২৫ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হয়েছে। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১২মেট্রিক টন। তবে প্রতি হেক্টরে ২ দশমিক ৫০ মেট্রিক টনের মতো উৎপাদন হতে পারে বলে ধারনা কৃষি বিভাগের।
মন্তব্য