ফরিদপুর প্রতিনিধি-
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সদর বাজারের বিভিন্ন অলিগলি জুড়ে ব্যাঙেঁর ছাতার মত গড়ে ওঠেছে ফুটপাতের টোং দোকান। উপজেলার বিশাল বাজারের ভিতরে রাস্তা সহ প্রায় সব অলিগলি বেদখলে চলে যাওয়ার কারণে ব্যাহত হচ্ছে যানচলাচল, অগ্নিকা- হলে গলিতে চলতে পারছে না ফায়ার সার্ভিস গাড়ী, জীবন রক্ষায় গলিতে ঢুকতে পারছে না এম্বুলেন্স। বাজারের অবৈধ স্থাপনার ভীরে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাসও ফেলতে পারছেন না ক্রেতা-বিক্রেতারা। শুধু তাই নয়, দখলদারের কবলে বাজারের অলিগলি দিয়ে ঢুকছে না কোনো প্রকার যানবাহন, ব্যাহত হচ্ছে ফায়ার সার্ভিস কার্যক্রম, প্রমাণ মিলছে না সিসি ক্যামেরায় ধারনকৃত বিভিন্ন অপরাধযজ্ঞ। ফলে বাজারে অবৈধ স্থাপনার চাপে প্রতিদিন সৃষ্টি হচ্ছে অসহনীয় যানযট। এতে বাজার অব্যাবস্থাপনায় সৃষ্টি হচ্ছে এক অস্বাস্থ্যকর ও বিপন্ন পরিবেশ। ফলে উপজেলা বাজারে বাড়ছে জনদুর্ভোগ ও সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারন ক্রেতা-বিক্রেতা।
জানা যায়, ওই বাজারের এ দুরবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট বণিক সমিতির সদস্যরা মিলে বিভিন্ন সভা ও বৈঠক করে দখলদারদের বার বার সচেতন করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু “চোরে শুনে না ধর্মের কাহিনী” প্রবাদ বাক্যের মতোই দখলদাররা অবৈধ স্থাপনাগুলো আরও সম্প্রসারন করে বহাল তবিয়তে রমরমা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন বলে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছেন।
গত ক’দিন আগে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত পবিত্র মাহে রমজান বিষয়ক সভায় প্রধান অতিথি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মোতালেব হোসেন মোল্যা জানান, “ উপজেলা সদর বাজারের অলিগলি, রাস্তাঘাট, খালি জায়গাটুকু, এমনকি বাজারে ট্রাকের মালামাল উঠানামার জন্য উন্মুক্ত জায়গায়ও ব্যাবসায়ীরা দোকানপাট বিছিয়ে দখল করে রেখেছেন। ফলে বাজারের মধ্যে কোনো ট্রাক ঢোকার মত জায়গা সংকুলান নেই। কিন্তু ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের সরবরাহকৃত মালামাল ভর্তি ট্রাক ও পিকআপ গাড়ী নিয়মিত বাজারে ঢুকে জটিল যানযট সৃষ্টি করছে। তিনি ওই বৈঠকে জনস্বার্থে উপজেলা বাজারের এ দুরবস্থা থেকে মুক্তির জন্য সকলের সহায়তা কামনা করেন”। ওই উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানজিলা কবির ত্রপা বলেন, “ চরভদ্রাসন বাজারকে দখলমুক্ত করার জন্য দীর্ঘদিন আমি সংশ্লিষ্ট সবাইকে সর্বোচ্চ অনুরোধ করেছি। ওই বাজার ঘুরে ঘুরে আমি অবৈধ স্থাপনাগুলো সরিয়ে নেওয়ার জন্য বার বার মৌখিক নির্দেশ দিয়েছি। এরপরও দখলদাররা স্থাপনা সরিয়ে নেয় নাই। কাজেই এখন বাধ্য হয়ে আমি শীগ্রই আইনগত ব্যবস্থা নিবো”।
সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, উপজেলা সদর বাজার চত্তর সহ রাস্তার ধার ও নদীপার দিয়ে বিশাল এলাকার প্রায় সাড়ে ৭শ’ ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এরসাথে আরো প্রায়য় শত শত অবৈধ স্থাপনা গড়ে ওঠে গ্রাস করেছে বাজারে পিঠ ঘুরানোর মত খাস জমিটুকুও। বৃহস্পতিবার এলাকার সচেত মহল উপজেলা বাজারের এ দুরবস্থা থেকে মুক্তির জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের গভীর নজরদারি কামনা করেছেন।
মন্তব্য