পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ
বরগুনার পাথরঘাটায় ছাত্র ভর্তি দ্বন্দ্বে অনার্সের দুই বিভাগের শিক্ষকের মাঝে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এক শিক্ষকের ওপর অন্য শিক্ষক কর্তিক হামলার ঘটনার এ অভিযোগ উঠেছে। গত ৩ মে বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টায় পাথরঘাটা কলেজে ওই হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ইমরান নামের একজন শিক্ষার্থী সিদ্দিকিয়া ফাজিল মাদ্রাসা থেকে পাস করে সে স্বইচ্ছায় অনার্সে ভর্তির জন্য নিজে এসে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক শাহজালাল এর কাছে কাগজপত্র জমা দেয়। আগত নতুন ঐ শিক্ষার্থীকে এর আগে কেহ চিনতেন না। তবে ওই শিক্ষার্থীকে কেন সমাজবিজ্ঞান অনুষদে আবেদন করানো হলো এটা জানতে চাইতে সমাজবিজ্ঞান ভিভাগে আসলো ইসলামের ইতিহাস বিভাগের মেধাবী ও সনামধন্য শিক্ষক মো. আতিকুজ্জামান (মনির)। তিনি এসেই সমাজবিজ্ঞানের প্রভাষক বেল্লাল হোসেনকে বলে তুই ইমরানকে ভর্তি করিয়েছো? সে জানায় না। তখন আতিকউজ্জামান কোন কথা বার্তা না বলেই চেয়ার দিয়ে সমাজবিজ্ঞানের অপর প্রভাষক শাহজালালের ওপর আঘাত করার চেষ্টা করে এবং এলোপাথাড়ি ভাংচুর চালায়। এতে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তিনটি চেয়ার ভেঙে যায় । এ ঘটনায় হামলাকারীর বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি অভিযোগ পত্র অধ্যক্ষ ও সভাপতি বরাবরে দাখিল করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে আতিকুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় আমার সাথে ঝগড়াঝাটি ও কোদাকোদি হয়েছে মারামারি হয়নাই। আমি ওখান থেকে বের হওয়ায় পর ওরা নিজেরা চেয়ার ভেঙে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে।
পাথরঘাটা কলেজের অধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রভাষক আতিকুজ্জামান যে ঘটনা ঘটিয়েছে তা কোন শিক্ষক সুলভ আচারণের মধ্যে পড়ে না। এর আগেও সে কতিপয় সন্মানিত প্রভাষকদের সাথে এভাবে আচারণ করেছে। এ ঘটনায় আমি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিধিগত ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাথরঘাটা কলেজের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুফল চন্দ্র গোলদার বলেন, ঘটনাটি আমাকে অধ্যক্ষ জানিয়েছেন। অভিযোগ পেলে আগামী মিটিংয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য