ফরিদপুর প্রতিনিধি-
ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে পাওনা টাকা চাওয়ায় স্বপন শেখ (২৮) নামের এক যুবককে কাঠের বাটাম দিয়ে বাড়ি দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয় সুজন নামের এক ব্যবসায়ী। এ ঘটনায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে ওই যুবক। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বি এস ডাঙ্গি গ্রামের আদর্শ স্কুল রোডে সুজনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর গা ঢাকা দিয়েছে সুজন।
স্বপন সদর ইউনিয়ন এর আব্দুল শিকদারের ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা শেখ জালালের তৃতীয় পুত্র। সে চুক্তিতে ফার্নিচার রঙের কাজ করত। সে সুবাদে সুজনের কাছে টাকা পেত স্বপন।
সুজন ফরিদপুর সদর উপজেলার মুন্সিবাজারের পিয়ারপুর এলাকার বাসিন্দা।
সে গত ১৩ বছর ধরে চরভদ্রাসন উপজেলায় ফার্নিচারের ব্যবসা করছিল। বর্তমানে সে রশিদ শেখ নামের এক ব্যক্তির ঘর ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করছিলো ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সন্ধ্যার দিকে সুজনের দোকানে এসে পাওনা টাকা চায় স্বপন। এক পর্যায়ে টাকার হিসাব নিয়ে স্বপন ও সুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
কিছু বুঝে ওঠার আগেই সুজন কাঠের একটি বাটাম দিয়ে স্বপনের মাথায় আঘাত করে, এতে সে সাইকেল নিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে স্থানীয়রা স্বপনকে নিয়ে চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।
ওই সময়ের কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রিন্স মাহমুদ জানান, স্বপনের অবস্থা আশঙ্কা জনক দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
স্বপনের বড় ভাই সেলিম বলেন, স্বপনকে নিয়ে ফরিদপুর যাওয়ার পর সেখানেও তাকে চিকিৎসা প্রদান করা সম্ভব না হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। স্বপনের মাথার বাঁ পাশের হাড় অনেকগুলো টুকরো হয়ে গেছে।
শুক্রবার বেলা একটার দিকে তার অপারেশন শেষ হয়। বর্তমানে সে আশঙ্কা জনক অবস্থায় আইসিইউতে ভর্তি রয়েছে। এ বিষয়ে তারা আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।
চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা বলেন, এরকম একটি ঘটনার কথা তিনি জানতে পেরেছেন। তবে এ বিষয়ে এখনও কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য