ইমরান হোসেন তালহা,
নারায়নগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি।
ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় সারাদেশে প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের কাছে এখন পর্যন্ত নির্দেশনা নেই।
জেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি বলছেন, সরকার থেকে নির্দেশনা আসলে সাথে সাথে জানিয়ে দেওয়া হবে।
পূর্ব-মধ্যবঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আশঙ্কা থাকায় কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর মহা বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ ১৪ মে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কক্সবাজার-মিয়ানমার উত্তর উপকূল অতিক্রম করতে পারে। কক্সবাজার ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় ১৩ মে সন্ধ্যার মধ্যে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব শুরু হতে পারে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন থেকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় ১৩ মে একটি অফিস আদেশ প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকা দূর্যোগ কবলিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ‘দুর্যোগ সাড়াদান কেন্দ্র’ খুলে বিপদাপন্ন এলাকার তথ্য আদান-প্রদানের জন্য কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে দায়িত্ব ও দেওয়া হয়। তবে, দূর্যোগের এই সময়ে নারায়ণগঞ্জের জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম দেশের বাহিরে অবস্থান করছেন। এই পদে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সহকারী কমিশনার (এনডিসি) মোহাম্মদ রবিন মিয়া।
তিনি জানিয়েছেন, তিনিও দূর্যোগ মোকাবেলার কোন দায়িত্ব পায়নি।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখার অফিস সহায়ক দিলীপ চন্দ্র ঘোষ বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলার পরামর্শ দিয়েছেন এই প্রতিবেদককে।
পরে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভপতি মো. মঞ্জুরুল হাফিজ বলেন, এখন পর্যন্ত কোন প্রস্তুতি ও নির্দেশনা নেই। সরকার থেকে নির্দেশনা আসলে সাথে সাথে জানিয়ে দেওয়া হবে।
মন্তব্য