বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪
 

ব্রহ্মপুত্রে চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন

মাহবুবুর রহমান জিসান
প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৩

---
রুমান শাহরিয়ার,জামালপুরঃ
জামালপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের বালুর গুণগত মান ও সহজলভ্যতার কারণে বালুর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আর এরই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে জামালপুর সদরের ব্রহ্মপুত্র নদের দুই পাড়ের অর্ধশত পয়েন্ট থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছে একদল অসাধু ব্যবসায়ীরা।
অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে নদের দুই পাড়ে দেখা দিয়েছে ভাঙন। এতে হুমকির মুখে পড়েছে শতাধিক বসত বাড়ি, ফসলি জমি, জামালপুর- ময়মনসিংহ মহাসড়ক, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মাদ্রাসাসহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতিদিন ড্রেজার মেশিন, অবৈধ বাল্ক হেড দিয়ে লাখ লাখ টাকার বালু উত্তোলিত হয় ব্রহ্মপুত্রে। আর এসব বালু বিক্রিও হয় প্রকাশ্যে। এছাড়া বালু বহনকারী গাড়িগুলো চলাচল করে শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলো দিয়ে। চলাচলের সময় বালু বহনকারী এসব গাড়ি থেকে বালু বাতাসে ছড়িয়ে পড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশ। এছাড়াও এসব বালু বহনকারী গাড়ির জন্য ঘটছে নানা ধরনের দুর্ঘটনা।
সদর উপজেলায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগীর অভিযোগ,“অবৈধভাবে বালু তোলায় নদীর পাশে অবস্থিত ঘড়-বাড়ী,রাস্তা,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি চাই।”
এছাড়াও স্থানীয়দের অভিযোগ, ব্রহ্মপুত্র থেকে বালু উত্তোলন করে বড় বড় ট্রলার দিয়ে অনেক দূর দূরান্ত পর্যন্ত বিক্রি হয় এই বালূ। যার ফলে তাদের ঘড়-বাড়ী ও রাস্তাঘাট ভেঙে যাচ্ছে এবং তারা নানা দূর্ভোগে পড়েছে।
সরেজমিন ঘুরে জানা যায়,দীর্ঘদিন ধরে সদর উপজেলার ফেরীঘাট, হরিপুর, শরিফপুর, বানার, নান্দিনাসহ বেশ কয়েকটি জায়গার ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে অপরিকল্পিতভাবে অবাধে বালু উত্তোলন করে ব্যবসা করছে অসাধু প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা। মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন‌ করলে কিছু দিনের জন্য বন্ধ হয় বালু উত্তোলন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবারো অবৈধভাবে বালু উত্তোলন শুরু করে ব্যবসায়ীরা।
নাম প্রকাশ না করে আরও একজন বলেন-“অবৈধভাবে যারা বালু উত্তোলন করছে তাদের সিন্ডিকেটের প্রধান একজন থাকে,যে‌ সব নিয়ন্ত্রণ করে। বালু উত্তোলনকারীরা অনেক প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায় না।”
এ বিষয়ে জামালপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা প্রতিনিধিকে জানান, “ইতি মধ্যে আমরা কয়েকবার মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছি। পাশাপাশি অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আমরা মামলা করেছি। আমরা আশাবাদী যে, অতিশীঘ্রই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো।

মন্তব্য

সর্বশেষপঠিত

এলাকার খবর

Developed By: Dotsilicon