তালতলী (বরগুনা ) প্রতিনিধিঃ বরগুনার তালতলীতে ধর্ষণ চেষ্টা ধামাচাপা দিতে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল কালাম গাজীর নেতৃত্বে স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে অভিযুক্ত ওয়াসিম মুনশিকে দুইটা বেতের বাড়ির মাধ্যমে ফায়সালা দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ মে) সকালে উপজেলার শারিকখালী ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা গেছে, উপজেলার আঙ্গারপাড়া গ্রামের মৃত আবুল হাশেম মুন্সির ছেলে অসীম মুন্সী পার্শ্ববর্তী নেসার উদ্দিনের স্ত্রীকে (দুই সন্তানের জননী) তার চার বছর বয়সী শিশু কন্যা সন্তানের সামনে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ ঘটনার সময় ঘরের বাইরে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল। এ সময় দস্তা দস্তির এক পর্যায় তার গলা টিপে ধরে মারধর করে কিল ঘুসি লাথি মারে। এ সময় ওই বখাটে অসিম দৌড়ে গিয়ে পাশের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে ঘটনার দিনগত রাতে স্থানীয় ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল কালাম গাজীর নেতৃত্বে অসীম মুন্সির ভাই হাবিব মুন্সির বাড়িতে সালিশ বৈঠক বসে। সালিশ বৈঠকে অসীম মুনশিকে দুটি বেতের বাড়ি দিয়ে মীমাংসা করে দেয়া হয়। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ওই গৃহবধুর স্বামী নেছার উদ্দিনকে প্রভাবশালী ও মামলাবাজ হাবিব মুন্সি ভয়-ভীতি প্রদান করলে নেছার উদ্দিন ঘটনাটি কারো কাছে বলতে অস্বীকৃতি জানায়। এদিকে সালিশ বৈঠকের পরপরই রাত নয়টার দিকে ওই গৃহবধুকে চিকিৎসার জন্য তালতলীস্থ নিউ পপুলার ডায়াগনস্টিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ওই গৃহবধুর নানী সাহেরা খাতুন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অসিম মুন্সী আমার নাতনিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। ধর্ষণ চেষ্টা কালে আমার নাতনিকে গলা টিপে ধরে মারধর করে, এ সময় আমার নাতনি দৌড়ে গিয়ে পাশের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এ বিষয়ে শারিকখালী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড সদস্য আবুল কালাম গাজীর সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু জানান, এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য