মোঃ মিনহাজ আলম, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ জমে উঠেছে ঠাকুরগাঁওয়ের পশু হাট গুলো। আনাচে-কানাচে পূর্ণ হয়ে গেছে গরুতে। কোরবানির ঈদ উপলেক্ষে ঠাকুরগাঁওয়ের পাঁচটি উপজেলায় নিয়মিত ও মৌসুমীসহ প্রায় ৩০ টি হাটে প্রচুর পরিমাণে দেশি-বিদেশি, ছোট-বড় গরু-ছাগল আমদানী ও বেচা-কেনা হচ্ছে।
বছরব্যাপী গরু পালনকারী খামারীরা এ সময় এসব হাটে প্রচুর পরিমাণে কোরবানির গরু বিক্রি করে।
তবে ঠাকুরগাঁয়ের এবারের পশুর হাট গুলোতে রয়েছে পর্যাপ্ত গরুর আমদানি ,কিন্তু নেই কেনা বেচা । পর্যাপ্ত গরু থাকলেও কেউ বিক্রি করে খুশি, আবার কেউ অধিক দামে কিনে অখুশি। তারা বলছেন খামারি গরু এবং গৃহপালিত গবাদি পশুর আমদানি বেশি হওয়ায় ক্রেতা কম।
ক্রেতা ও বিক্রেতাদের বলেন, এবার পশুর হাট গুলোতে রয়েছে পর্যাপ্ত গরু। তবে পর্যাপ্ত গরু থাকলেও দামে বোনছে না অনেক দাম গরুর।
এক বিক্রেতা বলেন, আমি গরু গুলো দুই বছর যাবত পালন করেছি।আমার গরুর দাম চেয়েছি ৮০ হাজার টাকা। তবে তাও মিলছে না ক্রেতা হাটে অনেক গরু তাই খরিদ্দার কম।
ঠাকুরগাঁওয়ের চারটি উপজেলা সীমান্ত ঘেসা। প্রতিবারেই প্রায় অসংখ্য গরু ভারত থেকে বাংলাদেশে আসে। তবে এবারে ভিন্ন চিত্র। ভারতিও গরু দেখা যায়নি হাট গুলোতে। এবারে কৃষকের ঘরেই ও খামারিদের অসংখ্য গরুতে ভরে গেছে ঠাকুরগাঁওয়ের হাট গুলো। তাই চরম বিক্রি হচ্ছে মাঝারি ও বড় সাইজের গরু গুলো। এতে করে গৃহপালিত গুরু মালিকেরা লাভবান হচ্ছেন।
পশুর হাট গুলোতে রয়েছে মেডিকেল ক্যাম্প যার আওতায় কাজ করছে প্রতিটি হাটে চার থেকে পাঁচজন করে পশু চিকিৎসক। অনেক গায় গর্ভবতী কিনা এবং গবাদিপশু গুলো অসুস্থ রয়েছে কিনা সেটি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দিচ্ছেন।
ইজারাদার বলেন, গরুর আমদানি বেশ ভালো। ভারতীয় গরু নেই খামারি এবং কৃষকের গরুতেই পরিপূর্ণ হয়ে গেছে হাট গুলো।বাজারদর মোটামুটি ভালই রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, জাল টাক শনাক্ত করনে কৃসি ব্যাংকের সৌজন্যে হাট গুলোতে জাল টাকাপরীক্ষা করার মেশিন বসানো হয়েছে। কারো সন্দেহ হলে আমাদের কাছে আসে পরীক্ষা করাতে পারে।
এদিকে দুর্বৃত্তরা জাল টাকা ছড়িয়ে দিয়ে যেন সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করতে না পারে সেজন্য হাট কমিটির লোকজন ও পুলিশ তৎপর রয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা।
মন্তব্য