মোঃ মিনহাজ আলম
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি :
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে চাঞ্চল্যকর মৎসজীবি লীগ নেতা শাকিল হত্যা মামলার প্রধান আসামী ভানোর ইউনিউনের ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছে নিম্ন আদালত।
রবিবার (২৩ জুলাই) দুপুরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে নিম্ন আদালতে আত্মসমার্পন করলে ঠাকুরগাঁও জেলা ও দায়রা জজ মামুনুর রশিদ তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিয়ষটি মামলার বাদী যুবলীগ নেতা সাঈদ আলম নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সুত্রে জানা গেছে, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়ন মৎস্যজীবি লীগের সভাপতি শাকিল হত্যাকাণ্ডে তার ভাই যুবলীগ নেতা সাঈদ আলমের করা মামলায় গত ২০২২ সালের ৩ নভেম্বর ঠাকুরগাঁও জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে জামিন না মঞ্জুর করে মামলার প্রধান আসামী ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামকে কারাগারে পাঠায় আদালত। পরে ৩০ নভেম্বর একই আদালতে পুনরায় জামিনের আবেদন করলে জামিন পান চেয়ারম্যান। পরে কারামুক্ত হন তিনি।
এরই প্রেক্ষিতে গত ২৪ জানুয়ারি নিম্ন আদালতের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে রিট করেন মামলার বাদী সাঈদ আলম। পরে ওই রিট শুনানিঅন্তে রুল জারি করে উচ্চ আদালত জানতে চান ইউপি চেয়ারম্যানের জামিন কেন বাতিল করা হবে না।
গত ১২ মার্চ উচ্চ আদালতের বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের জারি করা রুল আদেশের ওপর গত ১৪ জুন শুনানি হয় বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে। সেখানে আদালত ইউপি চেয়ারম্যানের জামিন বাতিল করেন এবং একই সাথে জামিন স্থগিতের আদেশ হাতে পাওয়ার ২ সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমার্পনের নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত।
মামলার বাদী সাঈদ আলম জানান, হত্যা মামলার প্রধান আসামী কিভাবে ১ মাসে জামিনে মুক্ত হয়। নিম্ন আদালতের এমন আদেশ উচ্চ আদালতে গিয়ে চ্যালেঞ্জ করেছিলাম। উচ্চ আদালত আমার আবেদন মঞ্জুর করে জামিন বাতিল করে। আজ রবিবার চেয়ারম্যানকে পুনরায় কারাগারে যেতে হয়েছে। আমি আশাবাদী ভাই’র হত্যার ন্যায় বিচার পাবো।
তিনি আরও বলেন, এর মধ্যে ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা) কে নিয়ে অগ্রহণযোগ্য মন্তব্যের জেরে ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও যুবলীগ নেতা সাঈদ আলমের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে সাঈদ আলমের ভাই মৎস্যজীবী লীগ নেতা শাকিল আহমেদ মারা যান।
পরের দিন বালিয়াডাঙ্গী থানায় ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামসহ ২০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন যুবলীগ নেতা সাঈদ আলম। সেই মামলায় ৩ জন আসামী পলাতক রয়েছেন। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠালেও জামিনে মুক্ত হয়েছেন।
মন্তব্য