শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫
 

রায়পুরে গরীব,মেধাবী শিক্ষার্থীরা পাবে বিনামূল্যে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ালেখার সুযোগ

JK0007
প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০২৩

 ---

মাহবুবুর রহমান জিসান,

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি,

মেঘনার তীর ঘেষে উপকূলীয় অঞ্চল নিয়ে গঠিত লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা। ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই উপজেলার ৩ টি ইউনিয়নই মেঘনার উপকূলে অবস্থিত। স্থানীয় ছেলে-মেয়েরা আশপাশের বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে উত্তির্ন হলেই অভিভাবকদের মনে এক দুশ্চিন্তা জেঁকে বসতো। কারন উচ্চ মাধ্যমিকের জন্য কলেজে পড়াশোনা করানোটা ছিলো অনেকের নাগালের বাইরে। পুরো উপজেলায় একটি সরকারি কলেজ থাকলেও দূরবর্তী স্থানে হওয়ায় পশ্চিমাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের সেখানে পড়াশোনা প্রায় অসম্ভব ছিলো। আশপাশের কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থাকলেও সেখানকার পড়াশোনা ছিলো খুবই ব্যায়বহুল। যার ফলে উপকূলের সপ্ন’বাজ   শিক্ষর্থীদের সোনালী সপ্নগুলো থমকে যেতো মাধ্যমিক অবস্থাতেই।

---

কিন্তু এমন অবস্থায় এই অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের উন্নত ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ২০২২ সালে যাত্রা শুরু করে ডাঃ আব্দুল হক মেমোরিয়াল কলেজ নামে একটি ব্যাক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান।


লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার ২নং উত্তর চরবংশী ইউনিয়নে অবস্থিত এই প্রতিষ্ঠানটি গত বছর থেকেই গরিব,মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে মানসম্মত পাঠদানের সুযোগ দিচ্ছে।


সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির ট্রাষ্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলী খোকন (সিআইপি) কলেজের বেতন কাঠামোর নতুন ঘোষনা দিয়েছেন তিনি বলেন ‘ডাঃ আব্দুল হক মেমোরিয়াল কলেজের ভর্তি ফি সর্বমোট ১৫০০টাকা, মাসিক বেতন সর্বচ্চ ৩০০টাকা এবং আর্থিক অবস্থায় অনুযায়ী তাদের বেতন ১০০% পর্যন্ত মকুফ করা হবে। এবং গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভর্তি ফি,বেতন, শিক্ষার্থীর পাঠ্যপুস্থক, কলেজ ড্রেস সহ কলেজের যাবতীয় সরঞ্জাম আমাদের ট্রাষ্টের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন আমি চাই এই এলাকার প্রতিটি শিক্ষার্থী পড়ালেখার মধ্যে থাকুক। অর্থের অভাবে যেনো কারো পড়ালেখা বন্ধ হয়ে না যায়। শিক্ষা কোন ব্যাবসার পন্য হতে পারে না। তাই শিক্ষাকে সহজলভ্য করতে আল্লাহ আমাকে যতটুকু দিয়েছে আমি ততটুকু দিয়ে আমার চেষ্টা চালিয়ে যাবো।

আমি চাই এই অঞ্চলের প্রতিটি ঘরে কমপক্ষে একজন করে মাস্টার্স পাস

ছেলে -মেয়ে থাকবে’।



প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ জনাব খান আল মামুন জানায় ‘আমাদের    এখানে আধুনিক যুগ উপযোগী আইসিটি ও ইংরেজি বিষয়ে অধিক গুরুত্ব প্রদান করা হয়। এবং আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে শিক্ষার্থীদের কলেজের যাবতীয় খরচের ১০০% পর্যন্ত মওকুফ করা হয়।

অধ্যক্ষ আরো বলেন অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের মাসিক মূল্যায়ন পরীক্ষার ভিত্তিতে ১-১০ জনকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে লেখাপড়ার সুযোগ দেওয়া হয়, লেখাপড়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ ও ভবিষ্যত ক্যারিয়ার গঠনে রয়েছে কো-কারিকুলাম সুবিধাসমূহ’।


প্রতিষ্ঠানের এমন সুযোগ সুবিধায় নিজ সন্তানদের মানসম্মত পাঠদান করাতে পেরে কলেজ কর্তৃপক্ষের প্রতি সন্তুষ্ট প্রকাশ করেন অভিভাবকরা।

মন্তব্য

সর্বশেষপঠিত

এলাকার খবর

Developed By: Dotsilicon