মোঃ মিনহাজ আলম
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
একুশ বছর ধরে বন্ধ থাকা ঠাকুরগাঁওয়ের রেশম কারখানাটি আবারো আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হলো। তবে সরকারিভাবে নয়, এবার চালু হয়েছে বেসরকারি উদ্যোগে। কারখানাটি চালু হওয়ায় খুশি সংশ্লিস্টরাসহ সবাই।
২০০২ সালে জেলার ভাড়ি শিল্প রেশম কারখানাটি বন্ধ হলেও সরকারিভাবে বার বার চালুর উদ্যোগেও আলোর মুখ দেখেনি। তবে এবার টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বেসরকারি উদ্যোগে চুক্তিভিত্তিতে কারখানাটি আবারো আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে। এতে দীর্ষ প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেছে ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষের।
কারখানাটি চালু হওয়ায় এরইমধ্যে কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে। নারী পুরুষ উভয়েই যোগ দিয়েছে সুতা থেকে কাপড় উৎপাদনে। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে বিশটি মেশিনে কাপড় উৎপাদনে কাজ করছেন শ্রমিকরা। প্রতিটি মেশিন চলছে সমান তালে।
এ কারখানাটি চালু হওয়ার ফলে শাড়ি, পাঞ্জাবি, লুঙ্গি, থ্রি-পিচসহ পনের ধরেন কাপড় উৎপাদন হবে এ কারখানায় ।
দেড়যুগের বেশি সময় বন্ধ থাকা কারখানাটি চালু হওয়ায় একদিকে যেমন রেশম কর্তৃপক্ষের সাথে জড়িতরা কার্যক্রমে ফিরেছে। অন্যদিকে স্থানীয় শ্রমিক, চাষিদের মধ্যে ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্য। দুয়ার উম্মোচন হয়েছে ব্যবসা বাণিজ্যের। তবে সকলের সহযোগীতায় কারখানাটি সচল রাখার দাবি এখন সবার।
স্থানিয় উদ্যোগতা মোঃ বাবলুর রহমান বলেন, এসব কাপড় উৎপাদনে সুতার যোগান ও পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা চান তিনি।
ঠাকুরগাঁও -১ সাংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, পাঁচ বছরের জন্য লিজ দেয়া হয়েছে কারখানাটি। সরকারের চুক্তি অনুযায়ী কারখানা চলমান থাকলে সরকারিভাবে সহযোগীতার আশ্বাস দেন তিনি।
১৯৭৫-৭৬ অর্থবছরে শহরের গোবিন্দনগর এলাকায় প্রায় সাড়ে তিন একর জমিতে নির্মাণ করা হয় কারখানাটি। জাতীয়করণ করা হয় ১৯৮১ সালে। পরে ২০০২ সালে তৎকালিন সরকার লোকসানের অজুহাতে বন্ধ করে দেয় কারখানাটি। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বেসরকারি উদ্যোগে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন ঠাকুরগাঁও-১ আসানের এমপি রমেশ চন্দ্র সেন সহ প্রশাসনের উর্ধতনরা।
মন্তব্য