জেলা সংবাদদাতা:
মুজিববর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের অনুকূলে ৪র্থ পর্যায়ের ২য় ধাপে নির্মিত ঘর আগামী ৯ই আগষ্ট উদ্বোধন উপলক্ষে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের প্রেস ব্রিফিং।
০৭আগষ্ট সোমবার বিকাল ৩:৩০ মিনিটে সময় জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিং করেন শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিন আহম্মেদ।
এসময়ে তিনি বলেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী “মুজিববর্ষ” উপলক্ষে ২০২০ সালের ৭ মার্চ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষনা দিয়েছিলেন যে, “বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না”। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিটি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে দুই শতাংশ ঘাসজমি বন্দোবস্ত প্রদানপূর্বক টিনশেড সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে।
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের মাধ্যমে ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৬৬ হাজার ১৮৯ টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫৩ হাজার ৩৪০ টি, ৩য় পর্যায়ে ৬৫ হাজার ১৭৪ টি এবং ৪র্থ পর্যায়ের ৫৩ হাজার ৬০ টি ঘরের মধ্যে নির্মিত ৩১ হাজার ১৫৫ টি ঘর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করে উপকারভোগী পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ০৯ আগস্ট ২০১৩ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে গৃহ নির্মাণ প্রকল্পের ৪র্থ পর্যায়ের অবশিষ্ট ২১ হাজার ৯০৫ টি ঘরের মধ্যে ২১ হাজার ১০৭ টি নির্মিত ঘর ভার্চুয়ালি উদ্বোধনপূর্বক উপকারভোগী দের কাছে জমির কবুলিয়ত, নামজারি খতিয়ান ও দখল হস্তান্তর করার জন্য সানুগ্রহ সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।
এদিন শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার ১৪২ টি এবং ভেদরগঞ্জ উপজেলার ৩৭টি সর্বমোট ১৭৯ টি গৃহ বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উপকারভোগীদের মধ্যে জমির দলিলসহ আনুষাঙ্গিক কাগজপত্র হস্তান্তর করা হবে ও ঘরের দখল বুঝিয়ে দেয়া হবে। এছাড়াও এদিনে গোসাইরহাট উপজেলায় ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ পর্যায়ে সর্বমোট ৩২৪টি গৃহ প্রদানের মাধ্যমে উক্ত উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা দেয়া হবে। উল্লেখ্য যে, ইতোমধ্যে শরীয়তপুর সদর ও ডামুড্যা উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনযুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
সাইফুল ইসলাম
শরীয়তপুর সংবাদদাতা
মন্তব্য