মোঃফজলে রাব্বি, বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব-এর ৯৩তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে ০৮ আগস্ট ২০২৩ তারিখ বেলা ১১.০০টায় একাডেমিক ভবনের ৫০১নং কক্ষে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ. কিউ. এম. মাহবুবের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ট্রেজারার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড. মোঃ মোবারক হোসেন এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান ভূঁইয়া, প্রক্টর ড. মোঃ কামরুজ্জামান, ছাত্রলীগ নেতা এম এম ইব্রাহীম পলাশ প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ মজনুর রশিদ। ট্রেজারার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড. মোঃ মোবারক হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর সারা জীবনের সংগ্রাম ও রাজনীতিতে পাশে থেকে সহযোগিতা করেছেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। তিনি ছিলেন একজন দূরদর্শী মহিয়সী নারী। তিনি আরও বলেন, শেখ মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধুর জাতির জনক হয়ে ওঠার পেছনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব-এর অবদান ছিল অপরিসীম।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ. কিউ. এম. মাহবুব বলেন, বঙ্গমাতা ছিলেন অনন্য সাধারণ একজন মহিয়সী নারী এবং তাঁর ত্যাগ-তিতিক্ষা ছিল অপরিসীম। তাঁকে নিয়ে অনেক গবেষণা করা যায়। তিনি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উদ্দেশ্যে বলেন, অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষার জন্য বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার আদর্শকে বুকে ধারণ করে দেশের জন্য কাজ করতে হবে।আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও ১৫ আগস্ট সকল শহিদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র ইমাম মুফতী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
এছাড়া বাদ যোহর কেন্দ্রীয় মসজিদে বিশেষ দোয়া করা হয়।অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বশেমুরবিপ্রবি ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব-এর ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল দুপুর ১২.৩০টায় হল প্রাঙ্গনে বৃক্ষরোপণ, কেক কাটা ও আলোচনা সভা।
মন্তব্য