বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪
 

গণধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মাদারীপুর র‍্যাব ৮ হাতে আটক-২

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০২৩

---
কাজী নাফিস ফুয়াদ মাদারিপুর প্রতিনিধিঃ শরীয়তপুরের চঞ্চল্যকর গনধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী ইসলাম ফকির (২২) এবং রাকিব মন্ডল (২২) কে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্প।

শুক্রবার(১১ আগস্ট) মধ্যরাতে র‍্যাব-৮, সিপিসি-৩, মাদারীপুর ক্যাম্প ও র‍্যাব-৭, সিপিসি-৩, চাঁদগাও ক্যাম্পের যৌথ অভিযানে চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী থানাধীন টাইগার পাস এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো শরীয়তপুর জেলার পালং মডেল থানাধীন উত্তর মধ্যপাড়া এলাকার মৃত লোকমান ফকিরের ছেলে ইসলাম ফকির (২২) ও একই এলাকার মৃত ছামাদ মন্ডলের ছেলে রাকিব মণ্ডল (২২) আটক করা হয়।

মামলার এজাহার ও র‍্যাব-৮ সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের জুন মাসের ৩০ তারিখে শরীয়তপুর বাসস্ট্যান্ড হতে ষোল। বছরের এক কিশোরীকে অপহরণ করা হয়। পরবর্তীতে ইসলাম ফকির ও রাকিব মন্ডল ঐ কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এসময় ভুক্তভোগী কিশোরীর আর্তচিৎকারে
আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ধর্ষণকারীরা কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা ঐ কিশোরীকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলা হলে আদালত সকল সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আসামীদেরকে যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করেন। এরপর থেকে আসামীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্মাণ শ্রমিক ও যানবাহন শ্রমিকের ছদ্মবেশে আত্মগোপনে থাকে। বিষয়টি র‍্যাবের নজরে আসলে তথ্য-প্রযুক্তি ও সামাজিক গোয়েন্দাবৃত্তির মাধ্যমে গতরাতে র‍্যাব-৮, সিপিসি-৩, মাদারীপুর ক্যাম্প ও র‍্যাব-৭, সিপিসি-৩, চাঁদগাও ক্যাম্পের যৌথ আভিযানিক দল আসামীদেরকে চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী থানাধীন টাইগার পাস এলাকা হতে শরীয়তপুরের চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

র‍্যাব ৮ মাদারীপুর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোঃ মুহতাসিম রসুল জানান, “শুরু থেকেই অভিযুক্ত আসামিরা পলাতক ছিল। চাঞ্চল্যকর ও বহুল আলোচিত বিষয়টি র‍্যাবের নজরে আসলে আমাদের গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করি। একপর্যায়ে তথ্য-প্রযুক্তি ও সামাজিক গোয়েন্দাবৃত্তির মাধ্যমে জানতে পারি আসামীরা চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী থানাধীন টাইগার পাস এলাকায় অবস্থান করছে। পরে র‍্যাব-৮, সিপিসি-৩, মাদারীপুর ক্যাম্প ও র‍্যাব-৭, সিপিসি-৩, চাঁদগাও ক্যাম্পের সদস্যরা যৌথ অভিযান পরিচালনা করে আসামিদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। আসামিদের আইনি প্রক্রিয়া শেষে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।”

র‍্যাবের এ ধরনের কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলেও জানান র‍্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোঃ মুহতাসিম রসুল।

মন্তব্য

সর্বশেষপঠিত

এলাকার খবর

Developed By: Dotsilicon