নোবিপ্রবি প্রতিনিধি: ভালোলাগা আর ভালোবাসা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। প্রিয় মানুষটির জন্য কতজন কতকিছুই না করেন। তেমনি ভালোবাসার মানুষের জন্মদিনকে স্মরণীয় করে রাখতে ব্যতিক্রমী উদযাপন করলেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) কৃষি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হিমেল দাস।
আজ শুক্রবার (১১ আগস্ট) সকালে ভালোবাসার মানুষের জন্মদিনে, তার প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন স্বরূপ শুভ্রতার প্রতীক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটি কাঠ গোলাপের চারা রোপণ করেছেন তিনি।
হিমেল জানান, ২০১৮ সালে কলেজে পড়াকালে এক অপ্সরীর দেখা পান তিনি। অল্প সময়েই সেই শান্তশিষ্ট মেয়ের প্রেমে পড়েন হিমেল। কিন্তু দীর্ঘ ৫ বছর অপেক্ষার পরেও এ প্রেমের এখনো পূর্ণতা পায়নি। একপাক্ষিক এই ভালোবাসায় কখনো সেই মেয়ের সাথে কথা বলার সুয়োগ হয়নি তার। তবে আশা ছাড়েননি হিমেল। সম্প্রতি যোগাযোগের সুযোগ হয়েছে। তাই আবারও বুকে আশা বাঁধছেন।
হিমেলের এমন উদ্যোগের কথা নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা হলে মুহুর্তেই তা ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। মন্তব্যের ঘরে অনেকে হিমেলকে শুভকামনা জানান এবং তাদের ভালোবাসার পূর্ণতা দেখতে চান।
এ বিষয়ে হিমেল দাস বলেন, ‘দীর্ঘ অপেক্ষার পরেও যখন ভালোবাসার মানুষের কোনো সাড়া পাচ্ছিলাম না, তখন বন্ধুদের অনেকেই বলতো তাকে ভুলে যেতে। কিন্তু আমার চিন্তাজুড়ে শুধুই তার বসবাস। সব ভালোবাসা পূর্ণতা পায়না। কিন্তু একই আকাশের নিচে একই বৃষ্টি একই রোদ গায়ে মাখা, তার সাথে পরিচয় হওয়া আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ অনুভূতি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইচ্ছা ছিল ওর ক্যাম্পাসে গিয়ে জন্মদিন উদযাপন করবো। কিন্তু আমাদের দু’জনেরই সেমিস্টার ফাইনাল চলছে। তাই ওর স্মরণে নিজের ক্যাম্পাসেই কাঠগোলাপের চারা লাগিয়েছি। এখন ৫ বছর কিংবা ১০ বছর পরেও যদি কখনো ক্যাম্পেসে আসি তাহলে ওর নামে লাগানো গাছটি দেখে শান্তি খুঁজে পাই। ভালোবাসা যদি পূর্ণতা নাও পায়, এই অন্তত তার স্মৃতিটুকু ধরে রাখবে। মানুষ তো অনেক কিছুই করে, কিন্তু স্মৃতি ধরে রাখে কতজন? সে খুব সুন্দর করে চুলের খোঁপা করে। যদি কখনো সুযোগ হয় আমার এই গাছ থেকে একটি কাঠগোলাপ নিয়ে তার খোঁপায় গুঁজে দিতে চাই!’
মন্তব্য