মোঃজিয়াউল ইসলাম: বরগুনার জেলার পাথরঘাটা উপজেলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপজেলা এ উপজেলা বরগুনা জেলার সবচেয়ে বেশি অর্থনৈতিক চাঙ্গা করে রাখে পাথরঘাটা। বেশ কিছুদিন হলো পাথরঘাটা পৌরসভা ক শ্রেণীতে উন্নতিকরণ করা হয়েছে কিন্তু এর সুফল ভোগ করতে পারছে না পৌরবাসি।
সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এই এলাকার বাসিন্দাদের। কিন্তু এটা তো কথা ছিল না, কিন্তু অনেক বড় ধরনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মেয়র হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন, জনাব আনোয়ার হোসেন আকন ।সে থেকে এখন পর্যন্ত তেমন কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগাতে পারেনি পাথরঘাটা পৌরসভায়। পৌরসভার বেশির ভাগ সড়ক ভাঙাচোরা। ইট ও পিচ ধসে গেছে এসব সড়কে।
সরেজমিনে, গিয়ে দেখা এ জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় পাথরঘাটা পৌর শহরের বিভিন্ন রাস্তা-ঘাট গর্ত ও খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। এতে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে শহরের সড়কগুলো। ফলে পৌরবাসীদের অন্তহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বেহাল হয়ে পড়ছে এ রাস্তাগুলো। দুর্ঘটনা নিত্য নৈমেত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে জনদুর্ভোগ বহুগুণ বেড়ে গেছে। অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে এক পশলা বৃষ্টি হলেই পৌর শহরের বিভিন্ন রাস্তায় হাঁটু পর্যন্ত পানি জমে যায়। এ ছাড়া পৌর শহরের ৪নং ও ৮নং ওয়ার্ডের মাঝে দিঘীর দুই পাড় ভেঙে দিঘির গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত আছে দুই পাড়ের বাসিন্দারা চলাচলের রাস্তা নেই এ সমস্যা দীর্ঘদিনের কিন্তু এর সংস্কার বা কিংবা মেরামতের উদ্যোগ নেই । এ ছাড়া ও পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডের রাস্তার পিচ, পাথর ও খোয়া উঠে সড়ক জুড়ে অগনিত গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় সেখানে বৃষ্টির পানি জমে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
পৌর শহরের বড়ইতলা, সিনেমা হল রোড থেকে নিজলাঠিমারা রাস্তার বেহাল অবস্থা পৌরসভার সীমান্ত এলাকা, হাসপাতাল রোড থেকে হরিণঘাটা রোড, ঈমান আলী রোড থেকে নিলিমা পয়েন্টের সংযোগ সড়ক, পূর্ববাজার থেকে স্টেডিয়াম রোডের সব কটি সংযোগ সড়ক, ৮নং ওয়ার্ড কলেজের পেছনের সংযোগ রাস্তাসহ এমন কোনো এলাকা নেই যেখানে ভাঙা রাস্তার ভোগান্তি নেই।
এসব সড়কের অবস্থা খুবই ভয়াবহ। সংস্কারের অভাবে প্রতিনিয়ত উঠে যাচ্ছে বিভিন্ন সড়কের ইট-বালুর প্লাস্টার এবং ইটের খোয়া আর পিচ। বড়ইতলা থেকে শহরে আসা যাওয়ার প্রধান সড়কের সংযোগস্থলে রয়েছে একটি লোহার পুল। যেটি রীতিমতো জোড়াতালি দিয়ে এখন ব্যবহার করা হচ্ছে। এই শহরে ৩ শতাধিক অটোরিকশাচালক রয়েছেন, যাদের রুটিরুজির জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এসব সড়ক। সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে যাত্রীরা কোনো যানবাহনেই চলাচল করতে চায় না। বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বলা হলে তারা শুধু বারবার আশ্বস্তই করেই যাচ্ছেন এলাকাবাসীকে। কিন্তু ট্যাক্সেস ছাড় দিচ্ছেন না পৌরবাসীকে এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করছেন, আগের চেয়ে বহুগুণে ট্যাক্স বাড়িয়ে দিয়েও আমরা কোন এর সুফল ভোগ করতে পারছি না
ভুক্তভোগী রাসেল মাতুব্বর, নির্মাণ শ্রমিক নেতা হাবিবুর রহমান, কসমেটিকস ব্যবসায়ী সৈয়দ সৌরভ বলেন, বর্ষাকালে পৌর বাজারে আসা যাওয়াটা আমাদের জন্য খুব কষ্টকর। রাস্তার এমন অবস্থার ফলে কেউ অসুস্থ হলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নেয়ার জন্য কোনো ধরনের যানবাহন পাওয়া মুশকিল হয়ে পড়ে।
অত্র এলাকায় রয়েছে ৩টি পাথরঘাটা মহা বিদ্যালয়,চৌধুরী মাসুম টিভি এম কলে, হাজী জালাল উদ্দিন মহিলা সরকারি কলেজসহ গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান , তিনটি পর্যটন কেন্দ্র, গ্রামীণ ব্যাংক, ব্র্যাকসহ বেশ কয়েকটি এনজিও, মসজিদ-মাদ্রাসাসহ জনগুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। সড়ক সংস্কারের অভাবে সুবর্না বড়ইতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কচিকাঁচা শিশুরাসহ এলাকার বাসিন্দারা চলাচল করতে পারছেন না।, টিটু সিনেমা হল থেকে টেংরা বাজার হাজিরখাল এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ীরা এখান থেকে চলাচল করে থাকেন। এই এলাকার সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে সংস্কার ও মেরামতের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাস।
পাথরঘাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হোসেন আকন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই রাস্তাগুলো সংস্কার না হওয়ার কারণে ভেঙ্গে যাচ্ছে পিচ ডালাই উঠে যাচ্ছে যার কারনে সামান্য বৃষ্টিতে পানি জমে থাকে।সামনে রাস্তাগুলো টেন্ডার হবে এবং এই টেন্ডারে রাস্তাগুলো সংস্কার বা মেরামত হয়ে গেলে আর জনদুর্ভোগ থাকবেনা।
মন্তব্য